Mohammed Shami: ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে (One Day World Cup 2023) জয় লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের মাটিতে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল। টুর্নামেন্টে পরপর দশটি ম্যাচেই জয়লাভ করলেও অবশেষে ফাইনাল ম্যাচে বিপক্ষ দল অস্ট্রেলিয়ার কাছে ছয় উইকেটে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতীয় দলের। শোকাহত ভারতীয় দল আইসিসি (International Cricket Council) ট্রফি খরা কাটাতে মরিয়া। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) উপরই এখন দলের মূল লক্ষ্য। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে জোর কদমে। আগামী বছর জুন মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ভারতীয় দলের প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সাথে নবীন খেলোয়াড়দের মিলিয়ে মিশিয়ে দল গঠিত হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে ভারতীয় দল।
সেই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যেই নবীন খেলোয়ারদের প্রস্তুত করার জন্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামানো হয়েছে মাঠে। সেই সিরিজের জয়লাভ করে রিংকু সিং (Rinku Singh), আর্শদীপ সিং (Arshdeep Singh), রুতুরাজ গাইকোয়ার্ড (Ruturaj Gaikwad) সহ অন্যান্য নবীন খেলোয়াড়রা নির্বাচকদের আস্থার মর্যাদা রাখতে সফল হয়েছে।
Read More: IPL 2024: হার্দিক পান্ডিয়ার বদলি হিসাবে এই ৫ প্লেয়ারকে নিলামে টার্গেট করতে চলেছে গুজরাট !!
টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়ার পর এবার ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ফেলবেন। সেখানেও তরুণ খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রাখছে দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) খেলতে দেখা গেলেও টি-টোয়েন্টি দলে থাকবেন না তিনি। অন্যদিকে চোটের কারণে হার্দিক পান্ডিয়াও (Hardik Pandya) দলে উপস্থিত থাকতে পারবেনা। সুতরাং তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে সূর্য কুমার যাদবই (Suryakumar Yadav) ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
তরুণ খেলোয়ারদের মধ্যে জিতেশ শর্মা(Jitesh Sharma ,রিঙ্কু সিং(Rinku Singh) ,রুতুরাজ গায়কোয়াড(Ruturaj Gaikwad), আর্শদীপ সিং-রা (Arshdeep Singh) দলে জায়গা পেয়েছেন।দলে সিনিয়র খেলোয়াড়দের তুলনায় জুনিয়র খেলোয়াড়দের উপর বশি নজর দিচ্ছে বিসিসিআই (Board Of Control For Cricket In India), তা প্রোটিয়া সিরিজের (IND vs SA) স্কোয়াড থেকে বেশ আন্দাজ লাগানো যায়।
দলের প্রবীণ খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যটিং বিভাগে বিরাট (Virat Kohli) ও রোহিত(Rohit Sharma) নেই,বল হাতেও দেখা যাবেনা জসপ্রীত বুমরাহকে(Jasprit Bumrah)। মহম্মদ সিরাজ(Mohammed Siraj) থাকলে টি-টোয়েন্টি দলে থাকছেন না মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)।
সাদা বলের খেলায় শামির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত-
সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম চারটি ম্যাচে তাকে দলে সুযোগ না দিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হলেও, পঞ্চম ম্যাচে দলে সুযোগ পেতে বল হাতে ঝড় তুলেছিলেন মহম্মদ শামি। সাত ম্যাচে শাম ১০.৭০ গড়ে ২৪ উইকেট এবং১২.২০ স্ট্রাইক রেটে,৭/৫৭ এর সেরা পরিসংখ্যা সহ, টুর্নামেন্টে তিনটি পাঁচ উইকেট এবং একটি চার উইকেট শিকার করেছিলেন এবং বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে একজন ভারতীয় দ্বারা সেরা বোলিং পরিসংখ্যান অর্জন করেছিলেন।
স্বপ্নের বোলিং পারফরম্যান্স দিয়ে গোটা বিশ্বকাপ মাতানোর পরেও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সীমিত ওভারের খেলায় শামির ভবিষ্যৎ নিয়ে থাকছে জল্পনা। সাদা বলের খেলায় শামির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার কারণ তার ফর্ম নয় বরং বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার বয়স এবং চোটপ্রবনতা। বর্তমানে এই তারকা বোলারের বয়স ৩৩।
গত কয়েক মাসে তিনি কয়েকবার চোটের কারণে কাবু হয়েছেন, যার ফলে বাইরে থাকতে হয়েছে গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ সিরিজেও। ২০২৩ বিশ্বকাপের শেষে PTI সূত্রে জানা গিয়েছে গোড়ালিতে চোটের কারণে ভুগছেন শামি। এই কারণেই বর্তমান সিরিজগুলিতে আপাতত মাঠের বাইরে আছেন তিনি।
চোটপ্রবণ শামিকে সীমিত ফরমেটে দ্রুতগতির খেলায় আর কতদিন পাওয়া যাবে এ নিয়ে কোন নিশ্চয়তা নেই।নির্বাচকরা ইতিমধ্যে স্বামীর পরিবর্তে বিকল্প বোলার খুঁজে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। শামির বিকল্প বলার হিসেবে সুযোগ দিয়ে হচ্ছে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা(Prasidh Krishna),আবেশ খান(Avesh Khan),আর্শদীপ সিংদের (Arshdeep Singh) মতোন নবীন বোলার দের সাথে সাথে মুকেশ কুমার(Mukesh Kumar) ও মোহাম্মদ সিরাজদের(Mohammed Siraj)।
আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভালো ফলাফল করলে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে জায়গা পেতে পারে তারা। সেক্ষেত্রে বাইরেই থাকবেন মহম্মদ শামি। শামি বর্তমানে চোটের সমস্যায় কাতর, সুস্থ হয়ে উঠলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে নাহলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে কামব্যাক করবেন শামি।