ভারতীয় দলের ৫ দুর্ভাগা খেলোয়াড়, যাদের ভাগ্য কখনও সাথ দেয়নি !!

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি দল হল ভারত এবং ক্রমশ খেলোয়াড়দের সুযোগ পাওয়ার প্রতিযোগিতা এই দলে বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজের আধিপত্য বিস্তার করে ভারতীয় দলের অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় সাফল্য অর্জন করেছে। অন্যদিকে এমন কিছু খেলোয়াড় ছিলেন যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়েছেন ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার পরেও। এমনকি তাদের ভাগ্য কখনোই সাথ দেয়নি। ভারতীয় দলের সেই ৫ দুর্ভাগা খেলোয়াড়দের এই প্রতিবেদনে বেছে নেওয়া হলো:

১. ওয়াসিম জাফর:

রঞ্জি ট্রফিতে ওয়াসিম জাফর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে একজন। ভারতীয় দলে ২০০০ সালে জায়গা করে নেন ঘরোয়া ক্রিকেটে তার শক্তিশালী পারফরম্যান্স দিয়ে। কিন্তু ৪টি ইনিংসে ৪৬ রান করে বাদ পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে একটি অসাধারণ ডাবল সেঞ্চুরি করেন। যদিও নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন একজন ক্লাসিক ব্যাটসম্যান হিসেবে কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে জাফর গম্ভীর ও শেহবাগের উত্থানে নিজেকে বড় করে তুলতে পারেনি। সুতরাং কখনো সাথ দেয়নি তার ভাগ্য।

২. আম্বাতি রাইডু:

অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ আম্বাতি রাইডুর শৈশবের খেলা দেখে বলেছিলেন তিনি বড় মঞ্চের খেলোয়াড় হবেন। তেমনটাই হয়েছিল কিন্তু সাথ দেয়নি তার ভাগ্য। ভারতের হয়ে ৫৫ টি ওয়ানডেতে রাইডু ৪৭ গড়ে ভালো স্ট্রাইক রেট নিয়ে ১৬৯৪ রান করেছিলেন, কিন্তু এরপরেও ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল তাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি, যে কারণে অবসর নেন ক্রিকেট থেকে। তার মতো একজন শক্তিশালী মিডিল অর্ডারের সেই সময় খুব প্রয়োজন ছিল।

৩. ইরফান পাঠান:

পরবর্তী কপিল দেব হিসাবে ইরফান পাঠানকে বিবেচনা করা হয়। শীর্ষে থাকা যেকোনো খেলোয়াড়কে তিনি তার বোলিং দিয়ে সমস্যায় ফেলতেন। পাঠান নিজেকে দলে শক্ত করতে ব্যর্থ হন। এটি হয়েছে মূলত বিভিন্ন অধিনায়কের অধীনে খেলার কারণে। পাঠানকে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে ধোনি ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু তিনি ২০১২ সাল থেকে ব্যর্থ হন দলে জায়গা করতে। শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫টি উইকেট নিয়েও ভারতীয় দলে আর কখনো ফিরতে পারেনি।


৪. অমিত মিশ্র:

অমিত মিশ্র হলেন ভারতীয় দলের সবথেকে দুর্ভাগা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০২২ সালে অভিষেক করলেও তিনি সুযোগ পাননি হরভজন সিং ও অনিল কুম্বলের মতো বিখ্যাত স্পিনারের কারণে। এরপর জাতীয় দলের তার সুযোগ পাওয়া আরো কঠিন হয়ে পড়ে রবীন্দ্র জাদেজা ও অশ্বিনের কারণে। ভারতের হয়ে অমিত মিশ্র ২২ টি টেস্টে ৭৬ টি উইকেট নিয়েছেন, ৩৪ টি ওডিআইতে ৬৪টি উইকেট নিয়েছেন ও ১৬ টি উইকেট নিয়েছেন ১০টি টি-টোয়েন্টিতে। এছাড়াও তিনি শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৫টি উইকেট নেওয়ার পরেও দলে ফেরার সুযোগ আর হয়নি তার।

৫. সঞ্জু স্যামসন:

বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সঞ্জু স্যামসন সবথেকে অবহেলিত খেলোয়াড়। জাতীয় দলে ২০১৫ সালে অভিষেক হলেও টানা ৫-৬ বছর পর দলের বাইরে কাটান। তিনি এদিকে নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারেননি ঘরোয়া ক্রিকেটে হোক কিংবা আইপিএলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করার পরেও। সম্প্রতি নিজেকে প্রমাণ করেছেন কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে তা সত্ত্বেও আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নির্বাচকদের দল থেকে বাদ পড়েছেন। শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সঞ্জু স্যামসন ৭৭ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন।