আইপিএল ২০২৪ক্রিকেট নিউজফুটবলক্রিকেট গসিপঅন্যান্য খেলাধুলা

Sourav Ganguly: আইসিসি না সিএবি! আগামি ৪৮ ঘন্টায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ

“দি গড অফ অফসাইড” নামে খ্যাত প্রাক্তন ভারতীয় কিংবদন্তি প্লেয়ার সৌরভ গাঙ্গুলী কে আর বিসিসিআই-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে দেখা যাবে না। কিন্তু তার আইসিসি ...

Published on:

“দি গড অফ অফসাইড” নামে খ্যাত প্রাক্তন ভারতীয় কিংবদন্তি প্লেয়ার সৌরভ গাঙ্গুলী কে আর বিসিসিআই-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে দেখা যাবে না। কিন্তু তার আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য দরজা এখনও খোলা। ২০ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামি ৪৮ ঘন্টা ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের ভাগ্য নির্ধারণের সময়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আইসিসি-তে যদি তার নির্বাচন না হয় সেক্ষেত্রে সিএবি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেবেন সৌরভ গাঙ্গুলী। আগামী ২২ অক্টোবর সিএবি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সম্ভাবত সৌরভের সিএবি-তে কামব্যাক করার পরিকল্পনাটা বেশি। শনিবার সিএবি-তে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সৌরভ গাঙ্গুলী সেই বৈঠকের শেষে তাঁর নতুন ইচ্ছার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

বিসিসিআই-এর তরফ থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে নাম পাঠানোর শেষদিন আগামী ২০ অক্টোবর। সেদিন যদি সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সুপারিশ করে, তাহলে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতির পরবর্তী ডেস্টিনেশন হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে। কিন্তু সেটি না হলে তিনি বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। সৌরভ ইডেন গার্ডেন্সে অপেক্ষা করে থাকা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম সিএবি নির্বাচনে দাঁড়াব না। কিন্তু এখন সিএবি নির্বাচনে দাঁড়ানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেছি।’

প্রশাসক হিসেবে সৌরভের ভাগ্যে কী লেখা আছে?

সেই বিষয় নিয়ে একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের এডিটর এডিটর বলেন, ‘প্রশাসক হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎ সরু সুতোর উপর ঝুলছে। তিনি কোন দিকে যাবেন, বাঁদিকে না ডানদিকে। কেউ জানে না কোন পথ তিনি বেছে নেবেন।আজ ১৫ অক্টোবর।২০ অক্টোবর অর্থাৎ আর চারদিনের মধ্যে আইসিসি-তে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। অর্থাৎ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদি তাঁকে মনোনীত করে তাহলে আর চারদিন হাতে রয়েছে। এদিকে সিএবি-তে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ২২ অক্টোবর। মজার ব্যাপার হল আইসিসি-র নির্বাচন হবে ১১ নভেম্বর। অন্যদিকে সিএবি-র নির্বাচন আয়োজিত হবে ৩১ অক্টোবর। অর্থাৎ দশদিন আগে সিএবি-র নতুন সভাপতির নামা জানা যাবে।”

এরপর এডিটর ফের বলেন, ‘শনিবার সৌরভ সিএবি-তে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন যে তিনি বঙ্গ ক্রিকেটের নির্বাচনে দাঁড়াবেন। হয়তো এটা ভেবেই যে এখনও আইসিসি-তে যাওয়া তাঁর অনিশ্চিত রয়েছে। ফলে ঝোপের পাখিকে না ধরে হাতের কাছে থাকা সিএবি রয়েছে, সেটাকে অবলম্বন করে বুঝিয়ে দেবেন যে প্রশাসক হিসেবে তিনি লড়াই ছাড়ছেন না। তিনি আরও একটা কামব্যাকের জন্য সিএবি-কে সোপান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদি সৌরভকে আইসিসি-র জন্য বেছে নেয়, তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে নাটকীয় ব্যাপার। সেক্ষেত্রে সৌরভের প্রথম পছন্দ হবে আইসিসি।’

কিন্তু বিসিসিআই কি সত্যি সৌরভকে বেছে নেবে?

সেই সংবাদ মাধ্যমের এডিটরটি বলেন বলেন, ‘গত ১১ অক্টোবর যে পরস্থিতি ছিল, সেখান থেকে বর্তমান অবস্থা অনেক আলাদা। বোর্ডের সভায় সৌরভকে অপমানিত হতে হয়েছিল। তাঁর হাতে মনোনয়ন করা প্রার্থীদের একটা লিস্ট তুলে দেওয়া হয়েছিল। সৌরভ বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি যে রজার বিনি-কে বোর্ড প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। তবে সেই ঘটনার পর কিছুটা বরফ গলেছে। সৌরভ জানিয়েছেন যে তিনি রাজনৈতিক অঙ্ককে এক করতে চান না। এই মুহূর্তে বিসিসিআই চালাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের লোকজন।

বিজেপি-কে যদি সৌরভ বলেন যে ‘আমি এখন বিজেপি-তে যোগ দেব না, আগামিদিনে বিজেপি-র হয়ে প্রচার করব! কিংবা আমার পরিবারের কেউ বিজেপি-তে যুক্ত হবেন বা আমি রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেলে রাজি!’ তাহলে রাত দশটার মধ্যেই সৌরভ আইসিসি যাওয়ার সবুজ সংকেত পেয়ে যাবেন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। সৌরভ হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কোনও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁকে জড়িয়ে ফেলা যাবে না।

তবে এরপরেও আমার কাছে খবর কিছুটা বরফ গলেছে। এখন আগামি দুই দিন কী হয় সেই দিকেই সবার নজর থাকবে। আগামি দুই দিনের মধ্যে নয়াদিল্লির লোকজন সৌরভকে যোগ্যতম মানুষ হিসেবে আইসিসি-তে পাঠাবে নাকি বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে কাজ চালিয়ে যাবেন। সেটি আগামি ৪৮ ঘন্টায় ঠিক হয়ে যাবে।’

শুক্রবার বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল সৌরভের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই বিষয়টিও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন এডিটরটি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভবিষ্যতের চেয়ারম্যান বলেছেন যে সৌরভের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। ওঁর সম্পর্কে কেউ বাজে কথা বলেনি। কিছুটা বরফ না গললে অরুণ ধুমালের সেই সাক্ষাৎকারই হত না। এখন ফের দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। দিল্লির লোকজন সৌরভের সেন্টিমেন্টকে মেনে নেয় কিনা সেটাই দেখার। সিএবি সভাপতি হওয়াই সৌরভের একমাত্র ভবিষ্যৎ সেটা আমি অন্তত মেনে নিতে পারলাম না। ওঁর জন্য এখনও আইসিসি-র দরজা খোলা আছে, তার জন্য আগামি ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতেই হবে।’

About Author

Leave a Comment

2.