শুক্রবার কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইডেন গার্ডেনে চলতি আইপিএলে ঘরের মাঠে। ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করেও তাদের হারতে হলো। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে হায়দারাবাদ ২২৮ রানের বিরাট স্কোর খাড়া করে হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত শতরানে ভর করে। জবাবের আম তারা করতে নেমে নাইটরা ২০৫ রানে আটকে যায়। ফলে কেকেআরকে ২৩ রানে ম্যাচ হাড়তে হয়। ম্যাচ হারের পর কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা, কার্যত দলের বোলারদেরকে ঘুরিয়ে এক হাতে নিয়েছেন।
তার মত অনুযায়ী, ২৩০ রানের উইকেট ছিল না ইডেনের উইকেট। বোলিং পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি বলেই ২৩০ রান উঠেছে। পাশাপাশি তিনি এটাও জানাতে বলেননি যে, রিঙ্কু সিং তাদের রোজ রোজ (গুজরাট ম্যাচে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু) উদ্ধার করবে না!
নিতিশ রানা ম্যাচ শেষে পরিষ্কার বলে দেন, ‘আমি মনে করি আমরা যেভাবে ম্যাচে বোলিং করেছি, সেটা একেবারেই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। উইকেট কি ছিল বা ছিল না সেটা নিয়ে মন্তব্য করব না আমি। তবে আমি এটা বলব যে কোনভাবেই 230 রানের উইকেট ছিল না এই উইকেটটা। রিঙ্কু গতদিন যে ইনিংসটা খেলেছিল সেটা রোজ রোজ হবে না। তবে যথেষ্ট ভালো ব্যাট করেছি আমরা। ম্যাচকে যতটা গভীরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব আমরা নিয়ে যেতে চেয়েছি। আর সেটা হলে নির্দিষ্ট করে ওইভাবে বলা যেত না, কে জিতবে না বা কে জিতবে! আমি ছেড়েই দিলাম হোম অ্যাডভান্টেজ। কারণ আমরা জানি, কী ভাবে ইডেনের এই ২২ গজ খেলে। আমরা আশা করেছিলাম এখানে একটা ভালো স্কোর হবে ২০০ রান। গোটা দল সেই ভাবেই প্রস্তুত হয়েছিল। আমাদের বোলিংটা আরো ভালো হওয়ার প্রয়োজন আছে।’
এদিন প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ২০ ওভারে ২২৮ রান তুলেছিল ৪টি উইকেট হারিয়ে।হ্যারি ব্রুক ৫৫ বলে অনবদ্য ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংস ১২টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ৫০ রান করেন অধিনায়ক এডেন মার্করাম এবং ৩২ রান করেছিলেন অভিষেক শর্মা। জবাবে রান তারা করতে নেমে কেকেআর ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করেই আটকে যায়। ৪১ বলে ৭৫ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন অধিনায়ক নীতিশ রানা। তার ইনিংসে সাজানো ছিল পাঁচটি চার এবং ছটি ছয়। এছাড়াও ৩১ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান গুজরাট ম্যাচের নায়ক রিঙ্কু সিং। তবে এই দিন তিনি গুজরাট টাইটান্স ম্যাচের মত কোন অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটাতে পারেননি।