IPL 2023: ধোনির পরপর জোড়া ছক্কা দেখে প্রায় কেঁদে ফেলার দশা হয় গম্ভীরের, ভাইরাল গৌতির মিম !!

পরপর দুটি বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির ছক্কা হাঁকানো দেখে লখনউ সুপার জায়ান্টসের পরামর্শদাতা গৌতম গম্ভীরের মুখ কাচুমাচু হয়ে যায়। তিনি প্রায় কেঁদে ফেলেছিলেন। আসলে গম্ভীরের সম্পর্কে সমীকরণটা ধোনির সাথে মোটেও ভালো নয়। ২০ তম ওভারে খেলতে নেমে সেই ধোনি পরপর দুটি বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২১৭ রানে চেন্নাইয়ের স্কোর পৌঁছে দেয়। এছাড়াও আরো দুই রান হয় এই ওভারে। ২০তম ওভারে মোট ১৪ রান হয়েছিল। তার মধ্যে ধোনি ৩ বলে একাই ১২ রান করেন। আর শেষ পর্যন্ত এই রানটাই লখনউয়ের জন্য বেশি হয়ে যায়। কারণ ২১৮ রান তারা করতে নেমে কেএল রাহুলরা নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২০৫ রান করে ফেলেছিলেন ৭ উইকেট হারিয়ে। লখনউকে ১২ রানে হারতে হয়।

২০১৯ সালের পর চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ে ঘরের মাঠে প্রথম বার খেলতে নেমে তারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। টসে হেরে তারা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯.১ ওভারে তাদের ওপেনিং জুটি ১১০ রান করে। ৩১ বলে ৫৭ রান করেছেন ঋতুরাজ। দেওবন কনয়ে ২৯ বলে ৪৭ রান করেছিলেন। এছাড়াও শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রান করেছিলেন। মইন আলি করেছিলেন ১৩ বলে ১৯ রান। ১৪ বলে অম্বাতি রাইডু অপরাজিত ২৭ রান করেছে। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ধোনি ৩ বলে ১২ রান করেন।

আর ফাইনাল ওভারে পরপর দুটি বলে ধোনির দুটি ছক্কা হাঁকানো দেখে গম্ভীরের সেই করুন প্রতিক্রিয়া ছবিটি নেট পাড়ায় ভাইরাল হতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। ক্রিজে নেমেই ধোনি ঝড়ো হাওয়া বইয়ে দেন। মার্ক উডের ওপর চড়াও হন একুশের ঔদ্ধত্য নিয়ে। এই ৪১ বছর বয়সে। লখনউয়ের প্রথম ম্যাচেই মার্ক উড একাই দিল্লিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। সোমবার ক্যাপ্টেন কুল সেই উডকেই মাটিতে নামিয়ে আনেন। তিন বলেই মাহি উডের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে লখনউও ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করে। আগের ম্যাচে ওপেনার কাইল মেয়ার্স অর্ধশতরান করেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচেও তিনি অর্ধশতরান করেন মাত্র ২১ বলে। তখন দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা বেরিয়ে যাচ্ছে চেন্নাইয়ের হাত থেকে, তখনই ধোনি মক্ষম চালটা দেন। ডানহাতি অফ স্পিনার মইন আলিকে ধোনি বাঁহাতি মেয়ার্সের বিরুদ্ধে বলে আনেন।

৫৩ রানের মাথায় মইন মেয়ার্সকে আউট করেন। মইন অধিনায়ক রাহুল ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়ারও উইকেট নেন। ভয়ঙ্কর দেখানো মার্কাস স্টোইনিসও মইনের শিকার হন। চারটি উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার খেলার রাশ নিজেদের হাতে নেন। আর একজন স্পিনার মিচেল স্যান্টনার দীপক হুডাকে আউট করেন। স্পিনাররা লখনউয়ের প্রথম ৫ উইকেটের সবগুলিই নেন।

নিকোলাস পুরানের হাতে খেলার ভাগ্য নির্ভর করেছিল। ভালো খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার। কিন্তু ৩২ রানের মাথায় তিনি আউট হয়ে যান ছক্কা মারতে গিয়ে। পুরান আউট হয়ে যাওয়ার পরে লখনউ আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। আয়ুশ বাদোনি ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু দলকে জেতাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত লখনউয়ের ইনিংস শেষ হয় ২০৫ রানে।