দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও বরাবরই যেন কোন এক অজ্ঞাত কারনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বেশিরভাগ সময়ই ব্রাত্য হতে হয়েছে তাকে। নিজের দক্ষতার প্রমান যদিও তিনি দিয়ে এসেছেন বরাবরই তবে সেটাও যে খুব একটা লাভজনক হয়েছে তার জন্য এমনটা বলা চলেনা। আর এইসব নানা কারনেই এবার এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি জার প্রসংশা করেছেন অনেকেই। এতক্ষণ জার কথা বলা হচ্ছিল তিনি অন্য আর কেউ নন বরং একদা বাংলার হয়ে মাঠে ঝর তোলা উইকেটকিপার – ব্যটার ঋদ্ধিমান সাহা।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে টেস্ট চ্যাম্পয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে। যেই দলেও জায়গা হয়নি তার। স্কোয়াড থেকে কে এল রাহুল ছিটকে গেলেও পরে এক উইকেটরক্ষক শ্রিকর ভরতকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষনা করলেও জায়গা হয়নি ঋদ্ধির। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে ত্রিপুরার হয়ে বা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ফাইনালিস্ট দল গুজরাট টাইটানস এর হয়ে রীতিমতো ভালো খেলায় উপহার দিয়ে এসেছেন দর্শকদের। আইপিএল ফাইনালে ও তার ব্যাট থেকে এসেছিল একটি দুর্দান্ত ইনিংস। আর যদি উইকেট কিপিং এর দক্ষতার কথা বিবেচনা করা হয় সেক্ষেত্রে শুধু দেশে নয় বরং এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উইকেটকিপার হলেন ঋদ্ধিমান সাহা। যদিও দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেই বিষয় গুলি নিয়ে হয়তোবা আলোচনা হয়নি।
মূলত ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় নিউজিল্যান্ড দল ভারত সফর শেষ করার পর ই ঋদ্ধিমান সাহা কে সরাসরি জানিয়ে দেন যে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নতুন উইকেটরক্ষক তুলে আনার দিকেই তিনি জোর দেবেন। কাজেই ভারতীয় দলে ঋদ্ধির জায়গা আর হবেনা। যেই কারনেই টেস্ট চ্যাম্পি়নশিপের ফাইনালে এক উইকেটরক্ষক নিয়েই চলে যান তিনি।
আর এর পর পরই ঋদ্ধিমান সাহা নতুন প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে দলীপ ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তিনি। সম্প্রতি ত্রিপুরার ঘরোয়া ক্রিকেটে উন্নতির স্বার্থে ত্রিপুরার হয়ে খেলছেন তিনি। কিন্তু আসন্ন দলীপ ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের হয়ে আর খেলা চালিয়ে যেতে চাননা তিনি। তার এহেন সিদ্ধান্তের কারন জানতে চাওয়া হয় তার কাছ থেকে। এবিষয়ে তিনি যা বলেন তাতে ক্রিকেটপ্রেমীদের শ্রদ্ধা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ঋদ্ধিমানের উপর। এবিষয়ে তিনি জানান, “আমি নিজে সরে গিয়ে উঠতি খেলোয়াড়দের জায়গা করে দিতে চাইছি। আমি চাই এখানে এমন কেউ নতুন খেলোয়াড় খেলুক জার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।”