ভারতীয় ফুটবল টিমের অধিনায়ক,যাকে দেখে অনেকেই আশাবাদী ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির প্রসঙ্গে।সেই সুনীল ছেত্রী শুধু ফুটবল মাঠেই নয়,মাঠের বাইরেও উদাহরন তৈরি করতে পারেন,তারই ঝলক দেখা গেল।সোমবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত।সেই খেলায় গোল করে জার্সির পেটের ভেতর বল ঢুকিয়ে সেলিব্রেশনেই সুনীল সকলকে বুঝিয়েই দিয়েছিলেন যে, তার পরিবারে নতুন সদস্য আসতে চলেছে।ম্যাচ শেষে মৌখিকভাবে ঘোষণাও করে দেন তিনি। তবে যাকে ঘিরে ভারতীয় ফুটবলের এত আশা তার ঘোষনা তেও কিছু অভিনবত্ব থাকবে এতো স্বাভাবিকই।হলও ঠিক তাই।
এদিন ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে জিতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে ওঠে ভারত। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে আসতেই সুনীলের উদ্দেশে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন,আপনার সেলিব্রেশন দেখে মনে হল যেন গোল ছাড়া আরও কিছু সুখবর রয়েছে? সুনীল উত্তরে বললেন, ‘খুবই স্পষ্ট। আমি ও আমার স্ত্রী, দুজনই সন্তানসম্ভবা।’
সুনীল ছেত্রীর স্ত্রী সোনম মা হতে চলেছেন। তবে সুনীল বুঝিয়ে দিলেন, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার এই সফরে তিনিও তার স্ত্রীর পাশে সহযাত্রী হয়ে রয়েছেন।সুনীল জানান, ১৯ বছর আগে জুনেই শুরু হয়েছিল তাদের প্রেম।ফুটবলে দেশের হয়ে ৮৬ গোল করে ফেলেছেন সুনীল।এই অসামান্যতার গৌরব অর্জনকারী ব্যক্তিটি জানান , ‘আমরা চেয়েছিলাম সুখবরটা সকলকে জানিয়ে প্রত্যেকের শুভেচ্ছাবার্তা নিতে। কীভাবে ঘোষণা করব ভাবছিলাম। তারপর দুজনে মিলে ফুটবল মাঠের ভীষণ একঘেঁয়ে ঘরানাই বেছে নিলাম। আমি স্ত্রীর অনুমতি চেয়েছিলাম। ও রাজি হয়। ২০০৪ সালের ১১ জুন আমাদের প্রথম দেখা। সে জন্যই বলেছিলাম, ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে ১২ জুন খেলা। গোল পেলে গোটা দেশকে সুখবরটা দেব। সকলের ভালবাসা আর শুভেচ্ছা চাই।’
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে এদিনের ম্যাচে ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে ম্যাচে ৮১ মিনিট পর্যন্ত ০-০ আটকে ছিল ভারত। তবে ভারতের হয়ে শেষ বাজি মারেন সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের ৮১ মিনিটের মাথায় ভানুয়াটু বক্সের বাঁদিক থেকে ক্রস বাড়ান শুভাশিস বসু। বুকে করে সেই বল নামিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত ভলিতে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এদিন তিনি ভারতের জার্সিতে তাঁর ৮৬তম গোল করেন।এদিনের ম্যাচের সেরা হিসাবে ঘোষিত হন তিনি।এদিনের ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত।