ক্যারিয়ারে ২৫০ আন্তর্জাতিক উইকেট, বর্তমানে এই ক্রিকেটার চালাচ্ছেন মুদির দোকান !!
২০০০-২০১৩ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা ক্রিস মার্টিন (Chris Martin) ৭১ টি টেস্ট মিলে ২৩৩টি উইকেট নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মুদি'র পেশা বেছে নিয়েছেন।

Chris Martin: ১০-১২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর, সাধারণত কোন ক্রিকেটার তার সন্যাস জীবন শুরু করে থাকেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস হিসেবে তিনি হয়তো কোচিংয়ের ভূমিকা বেছে নেন, আর না হলে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। তবে এমন কিছু ক্রিকেটার আছেন, তারা ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর একপ্রকার বাধ্য হয়ে কিংবা স্বেচ্ছায় এক অন্য জীবন বেছে নেন।
একটু খুঁজলেই দেখা যাবে, ২২ গজে এইরকম অনেক দৃষ্টান্তই আছে, সেখানে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পর সেই ক্রিকেটাররা হয়তো ট্যাক্সি চালাচ্ছেন, নয় তো বাস চালাচ্ছেন। এমনও হয়েছে যে, কেউ ছুতোর মিস্ত্রি হয়ে গিয়েছে। তবে এমন একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার আছেন, তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২৫০-র উপর আন্তর্জাতিক উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে। অথচ এখন তিনি মুদির দোকান চালান! হ্যাঁ এটা ঠিক পড়েছেন। এখানে যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন প্রাক্তন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ক্রিস্টোফার স্টুয়ার্ট মার্টিন ওরফে ক্রিস মার্টিন (Chris Martin)।

ক্রিস মার্টিন (Chris Martin) আইপিএল প্রজন্মের কাছে পরিচিত নন। ২০০০-২০১৩ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা ক্রিস ৭১ টি টেস্ট মিলে ২৩৩টি উইকেট নিয়েছেন। রিচার্ড হেডলি ও ড্যানিয়েল ভেত্তোরির পর তার দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন ক্রিস। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এমএস ধোনির কাছে ক্রিস কাঁটা ছিলেন।
ক্রিস নিখুঁত লাইন-লেন্থে বল করে একাধিকবার ধোনিকে নাস্তানাবুদ করেছেন। অনায়াসে আউট করে দিয়েছেন। ক্রিস ৪০ বছর পর্যন্ত ক্রিকেট খেলেছেন। কিন্তু ৩৫ বছর বয়স থেকেই তিনি অবসর জীবনের পরিকল্পনা ভেবে ফেলেছিলেন। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর একাধিক বিকল্প জীবিকা থাকলেও ক্রিস মুদির দোকান বেছে নিয়েছেন।
Chris Martin’কে চালাতে হচ্ছে মুদির দোকান

ইস্টবোর্নে ক্রিস এক সুপারমার্কেট খুলেছেন নিউজিল্যান্ডের রিটেইল চেইন ফুডস্টাফসের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে। অতীতে তার অধিনায়কের কথা মাথায় রেখে ক্রিস উইকেট নেওয়ার জন্য মাথা খাটাতেন, এখন তিনি ভাবেন কোন তাকে কী সাজিয়ে রাখবেন। ২০১৯ সাল থেকে এই নিউজিল্যান্ডের একাধিক জায়গায় ক্রিস মার্টিন (Chris Martin) মিনি স্টোর শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি অবশেষে বড় স্টোর পেয়েছেন। তিনি খুব খুশিতেই নিজের দোকান নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন।