ভারতীয় ক্রিকেট টিমের (Indian Cricket Team) ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল খেলায় খুবই দুর্দান্ত ছন্দে দেখা গেছে ২০২৩ সালে। এই ২০২৩ মরশুমে ভারত মোট ওডিআই ম্যাচ খেলেছে ৯টি এবং তার মধ্যে জয়ী হয় সাতটি এবং পরাজিত হয় দুটি। এছাড়া শেষ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজদের সাথে ২টি টেস্ট সিরিজ। এরপর রয়েছে তিনটি ওডিআই ম্যাচ। সেখানেও আশা করা যায় ভারতীয় টিম খুবই ভালো পারফর্ম দেখবে। তাছাড়া এ বছরের আগস্টের শেষের দিকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এবং ২০২৩ সালে একদিনের বিশ্বকাপও (WC 2023) রয়েছে, যা আয়োজিত হতে চলেছে ভারতেই। ওডিআইতে বেশ ভালোই ছন্দে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্লেয়াররা।
গতবছর জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই ম্যাচ খেলার সময় পিঠে চোট পায় জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। ফিট না হওয়ার কারণে গতবারের এশিয়া কাপ খেলতে পারেননি জসপ্রীত বুমরাহ। শুধু এশিয়া কাপই নয়, খেলতে পারেননি গতবারের আইপিএল। এছাড়া কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপও খেলতে পারেননি। এছাড়া এবারের আইপিএলে ১ মে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করার সময় ডান পায়ে চোট পেয়েছিলেন কে এল রাহুল (KL Rahul)। সুতরাং এই কারণে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) খেলতে পারেননি কে এল রাহুল।
আরও পড়ুন: WC 2023: না জানিয়েই ইডেনের টিকিটের দাম ঘোষণা করলো CAB, সমস্যার মুখে সৌরভ গাঙ্গুলী !!
পাশাপাশি বহুদিন ধরেই পিঠে চোটের জন্য ভুগছেন শ্রেয়াস আইয়ার (Shreyas Iyer)। খেলতে পারেননি এবারের আইপিএলে। এছাড়া খেলতে পারেননি বর্ডার গাভাস্কার ট্রফি। এবং ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এর ফাইনাল। এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (Prasidh Krishna) আর বাদ বাকিদের মতোই ২০২২ সালে তিনিও পিঠে চোট পান। সেই সময় ভারতীয় দলের হয়ে খেলছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে চোট লাগে তার। যার ফলে তার বদলে দলে সুযোগ পায় শার্দুল ঠাকুর। অস্ত্রোপচারের পর আইপিএল খেলার সৌভাগ্য হয়নি তার।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ডান হাতি ব্যাটসম্যান, ওয়াসিম জাফর (Wasim Jaffer) জসপ্রীত বুমরাহ কে নিয়ে বলেন তাকে ছাড়া ভারতের বিশ্বকাপ জেতা অসম্ভব। তিনি এটাও বলেন, “আমি মনে করি জসপ্রিত বুমরাহ বিশ্বকাপে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডেথ বোলিংয়ে আমরা তাকে মিস করছি”।
জসপ্রীত বুমরাহর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে, তিনি টেস্টে ৩০ ম্যাচে ৫৮ ইনিংস খেলে ১২৮ উইকেট নেন ২.৬৯ ইকোমেনিক রানরেটে। এবং ওডিআইতে ৭২ ম্যাচে ৭২ ইনিংসে ৪.৬৪ ইকোমেনিক রানরেটে ১২১ উইকেট নিতে সক্ষম হন। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ৬০ ম্যাচে ৫৯ ইনিংস খেলে ৭০টি উইকেট নেন ৬.৬২ ইকোমেনিক রানরেটে।