আইপিএল ২০২৪ক্রিকেট নিউজফুটবলক্রিকেট গসিপঅন্যান্য খেলাধুলা

সৌরভের জার্সি ওড়ানোর পর কী ঘটেছিল? ২২ বছর পর অন্য গল্প শোনালেন সচিন !!

ভারতীয়দের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা প্রচুর। 8 থেকে 80 কোনো ম্যাচ চললেই টিভির সামনে বসে পড়ে বাড়ির পুরুষ মহল। তবে যুগ বদলেছে। আর যুগের সাথে ...

Updated on:

ভারতীয়দের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা প্রচুর। 8 থেকে 80 কোনো ম্যাচ চললেই টিভির সামনে বসে পড়ে বাড়ির পুরুষ মহল। তবে যুগ বদলেছে। আর যুগের সাথে বদলেছে মানুষের ভালো লাগা। যদিও ক্রিকেটের জন্য ভালো লাগা আরও বেড়েছে। আর এতটাই বেড়েছে যে এখন শুধু বাড়ির পুরুষরা না মহিলারাও ক্রিকেট দেখেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ নিয়ে টানটান উত্তেজনা চলছে। এমতাবস্থায় তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং করে 329 রান তোলে। প্রথম ইনিংসে হেনরি নিকোলাস 90 বলে 19 রান করেন এবং ব্রিটিশ স্পিনার জ্যাক লিচের বলে আউট হন। এই শটে নন স্ট্রাইকার দাঁড়িয়ে থাকা ড্যারেল মিচেলের ব্যাটে আঘাত করে জ্যাক লিচের বল। মাটিতে ড্রপ না পড়ায় নিকোলাসকে আউট ধরে নেওয়া হয়। এই ঘটনাটি শচীন টেন্ডুলকারের বেশ হাস্যকর মনে হয়েছে। তাই তিনি টুইট করেছিলেন যে ছোটোবেলায় পাড়াতে ক্রিকেট খেলার সময় তারাও নন স্ট্রাইকারকে এইভাবে আউট করতেন।

দেখতে দেখতে 20 টি বছর কেটে গেছে। লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার ও সৌরভ গাঙ্গুলীর সেই বিখ্যাত উদযাপনের কুড়ি বছর পরে এসে শচীন টেন্ডুলকার সেইদিনের স্মৃতিচারণা করেছেন এবং আসল ঘটনা তুলে ধরেছেন- দিনটা ছিল শনিবার। সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ দেখার জন্য লর্ডসের গ্যালারি ছিল ক্রিকেটপ্রেমী তে ভর্তি। নিজেদের ব্যাটের জাদু দেখিয়ে জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন দুই তরুণ খেলোয়াড়। ইংল্যান্ডের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ছিল 325।

কুড়ি বছর আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে 325 রান করা ছিল অসাধ্য সাধন করার মত। এই নিয়ে টানটান উত্তেজনা ছিল দর্শক ও খেলোয়াড়দের মধ্যে। যখন ভারতের স্কোরবোর্ডে 146/5, তখন ইতিমধ্যে আউট এর খাতায় নাম লিখিয়েছেন শচীন, সৌরভ, শেহবাগ, রাহুল দ্রাবিড়, দীনেশ এর মত বড় খেলোয়াড়েরা। ভারতীয় দর্শকেরা একপ্রকার ভেবেই নিয়েছিলেন যে এই ম্যাচ আর তাঁদের জেতা হলো না। তবুও টানটান উত্তেজনা নিয়ে কেউ চ্যানেল বদলানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছিলেন না।

সেই মুহূর্তে শচীনের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন প্রতিটি খেলোয়াড়। শচীন বলেছিলেন “যাই হয়ে যাক কেউ কারোর জায়গা থেকে নড়বে না।” আর তাই করেছিলেন সকলে। 69 রান করে যুবরাজ যখন আউট হন ক্রিজ কামড়ে শেষ পর্যন্ত পড়েছিলেন কাইফ। হরভজন সিং, জাহির খান প্রভৃতি খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিয়ে একের পর এক রান করে গেছেন তিনি।

এর পরের দৃশ্য সকলের জানা কিন্তু যে ঘটনা কেউ জানেন না তা জানিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর যুবরাজ সিং ও কাইফ তার সাথে দেখা করতে যান। তাঁরা শচীন টেন্ডুলকারকে জিজ্ঞাসা করেন আরো ভালো কী করে খেলা যায়। তখন শচীন টেন্ডুলকার তাঁদের বলেছিলেন যে তাঁরা সবেমাত্র টুর্নামেন্ট জিতিয়েছেন। এর থেকে আর বেশি কিছু দরকার নেই। এরকম ভাবেই তাঁরা যেন খেলতে থাকেন।

About Author