আইপিএল ২০২৪ক্রিকেট নিউজফুটবলক্রিকেট গসিপঅন্যান্য খেলাধুলা

Shreevats Goswami : ক্রিকেটে ছুটি, বৃন্দাবনে এখন পুজো করছেন বিরাটের বঙ্গবন্ধু!

তখনো বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ‘বিরাট’ হয়ে ওঠেননি, সেই তখন থেকেই তাদের বন্ধুত্ব। নেতা কোহলির হাত ধরে ২০০৮ সালে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (U19 World Cup) ...

Updated on:

তখনো বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ‘বিরাট’ হয়ে ওঠেননি, সেই তখন থেকেই তাদের বন্ধুত্ব। নেতা কোহলির হাত ধরে ২০০৮ সালে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (U19 World Cup) জিতেছিল। বাংলার এক উইকেট কিপার ব্যাটার সেই টিমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। বলা হয়, তার ভবিষ্যৎ বিরাটের মতো অত্যন্ত উজ্জ্বল। একদিন না একদিন ঠিক জাতীয় দলে জায়গা করে নেবেন। তার জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কিন্তু রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। অবশ্য এখন তার রঞ্জিতে ঠিকানা বদলে গিয়েছে। তার এখন ক্রিকেটে ছুটি। বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে বিরাটের সেই বঙ্গবন্ধু পূজো করছেন!

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বিরাটের এই বন্ধুটি কে? তিনি হলেন শ্রীবৎস গোস্বামী (Shreevats Goswami)। জাতীয় দলের জায়গা না পেলেও আইপিএলে বেশ কয়েকটি মরশুম খেলেছেন। ক্রিকেট খেলতে খেলতে হঠাৎ করে কেন শ্রীবৎস বাঁকে বিহারীর পূজো করছেন? TV9 Bangla-কে বাঁকে বিহারী মন্দিরের পূজারী নীতীন সাবারিয়া গোস্বামী বললেন, ‘আসলে গোস্বামী পরিবারে শ্রীবৎসর জন্ম। তিনি কলকাতাতে থাকেন ঠিকই, কিন্তু প্রতিবছর ওর পরিবার একটা নির্দিষ্ট সময় সেবা করে। ওদের যেহেতু সেবার সময় চলছে, তাই শ্রীবৎসও বৃন্দাবনে এসেছে। অবশ্য এটা নতুন নয়। ক্রিকেট থেকে ছুটি পেলেই শ্রীবৎস বৃন্দাবনে আসেন। শ্রীবৎস এর আগেও এসেছে। আজই সকালে বিহারীজির আরতি করেছে।’

ফোনে উইকেটকিপার-ব্যাটার শ্রীবৎস গোস্বামীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিস্তারিতভাবে বৃন্দাবনে পূজো করার ব্যাপারে জানান। শ্রীবৎস বৃন্দাবন থেকে বললেন, ‘আসলে আমরা বৃন্দাবনের গোস্বামী। বাঁকে বিহারী মন্দিরের গোস্বামী আমরা। ফলে এখানে পূজোর সাথে আমার পরিবার সরাসরি ভাবে যুক্ত। প্রতিবছর আমাদের সেবা পরে বাঁকে বিহারী মন্দিরে। খেলা না থাকলে আমিও বিহারীজির সেবা করতে চলে আসি। একটা সময় বৃন্দাবন ছেড়ে আমার দাদু কলকাতায় চলে গিয়েছিলেন। আমরা তখন থেকেই কলকাতাতে থাকি। ওখানেই তো আমার জন্ম।’

ক্রিকেটের পাশাপাশি কী ভাবে পুজো করেন শ্রীবৎস গোস্বামী?

শ্রীবৎসের কথায়, ‘নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি বিহারীজীর ভক্ত হতে পেরে। ক্রিকেট থেকে এখন ছুটি পেয়েছি। আর সেবার তারিখ এমন পরল যে দুটোই মিলে গেল। তাই চলে এলাম বৃন্দাবনে। আরো কিছুদিন সেবার সুযোগ আছে। বিহারীজির টান অনুভব করলেই এখানে চলে আসার চেষ্টা করি।’

কথায় কথায় শ্রীবৎস জানালেন, এখনো বৃন্দাবনে তাদের বাড়ি আছে। সেখানে গেলে নিজেদের বাড়িতে থাকেন। ক্রিকেট খেলছেন ছোটবেলা থেকেই। পূজো করা শিখলেন কী ভাবে? তার উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘গোস্বামী পরিবারে আমার জন্ম। বাড়ির প্রত্যেকেই বিহারীজির সেবা করে। তাই ছোটবেলা থেকেই পূজো করাটা শিখে গিয়েছিলাম।’ তিনি জানিয়েছেন, তার হাওড়ার লিলুয়া বাড়িতে বিহারীজির একটি ছোট মন্দির আছে। সমস্ত নিয়ম মেনে তার মা সেখানে পূজো করেন। ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ্রীবৎস। ক্রিকেট ছাড়ার পর কি তাকে বাঁকে বিহারীর নিয়মিত পূজারী হিসেবে দেখা যেতে পারে? এই প্রশ্নটা কিন্তু থেকে যাচ্ছে!

About Author
2.