তার উত্থান হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক থাকাকালীন। একটা সময় যুবরাজ সিং ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটের সব থেকে বড় ব্যাটসম্যান ছিলেন তাতে কোনরকম সন্দেহ নেই। যারা সেরা ছন্দের যুবরাজকে দেখেছেন তারা জানে যুবি কত বড় ব্যাটসম্যান ছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপ ক্যান্সার নিয়ে যুবরাজ ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। তিনি টুর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তারপর ২০১৩ সালে তিনি অবশ্য একদিনের দল থেকে বাদ পড়ে যান। ২০১৭ সালে তিনি কাম ব্যাক করেন। সম্প্রতির যুবরাজ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বিরাট কোহলি না থাকলে তিনি চার বছর পর ভারতের জার্সিতে আর ফিরতে পারতেন না। তার সব থেকে বড় কারণ হলো নাম না নিলেও বোধহয় মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু সব সময় বিরাট কোহলি যুবরাজের প্রতি বিশ্বাস রাখতেন এবং বড় দাদা হিসেবে তাকে দেখতেন।
তিনি যুবরাজ কে কথা দিয়েছিলেন যে ফিটনেস টেস্টে পাস করতে পারলে তার জাতীয় দলে ফেরা কেউ আটকাতে পারবেনা। তাই যুবরাজ সিং তিন মাস প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। এবং তিনি ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যুবরাজ জানিয়েছেন তিনি বিরাট কোহলির বিশ্বাস এবং ভালোবাসা কোনদিন ভুলতে পারবেন না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিরাট কোহলির কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন। কিন্তু এর পাশাপাশি যুবরাজের রাগ আছে ভারতীয় বোর্ডের উপর।
তিনি মনে করছেন সঠিকভাবে তাকে বিদায় জানানো হয়নি। তার জন্য একটি বেনিফিট ম্যাচ পর্যন্ত আয়োজন করা হয়নি। বোর্ডের কাছ থেকে তিনি এইটুকু সম্মান আশা করেছিলেন। যুবরাজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে আবারও দেশের মাটিতে আসন্ন একদিনের বিশ্বকাপে খেলবে ভারত যেমনটা ২০১১-তে হয়েছিল। ভারত কি এবার নিজেদের দেশে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে?
যুবরাজ জানিয়েছেন যে সেই কোয়ালিটি ভারতের আছে। কিন্তু টানা পারফর্ম করে যেতে হবে একজন অলরাউন্ডার এবং দুজন ব্যাটসম্যানকে। অনেকটা নির্ভর করবে বুমরাহ ফিরে আসার পর কেমন পারফর্ম করেন। পরিষ্কারভাবে যুবরাজ জানিয়ে দিয়েছেন যে ঘরের মাঠে ভারতকে খোলা মনে খেলতে হবে। সাহসীকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারলে সব কিছুই সম্ভব। বরাবরের মতো তিনি এবারও আশাবাদী যে ভারত ১২ বছর পর আবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।