Akash Deep: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ তিনটি টেস্ট ম্যাচের জন্য ভারতীয় দলে নির্বাচিত ফাস্ট বোলার আকাশ দীপ বলেছেন যে তিনি এত তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে যোগ দেবেন বলে আশা করেননি। গত মৌসুমে বেঙ্গল ও ইন্ডিয়া এ-এর হয়ে লাল বলের ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করা আকাশদীপ বলেছেন, ‘আমি আশাবাদী ছিলাম যে ভালো পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখলে অদূর ভবিষ্যতে আমি টেস্ট দলে নির্বাচিত হব, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই। তৃতীয় ম্যাচেই জাতীয় দলে জায়গা পাব এমনটা আশা ছিল না।
27 বছর বয়সী এই খেলোয়াড় দুর্গাপুরে টেনিস বল ক্রিকেট দিয়ে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি বিহারের বাসিন্দা যেখানে ক্রিকেটকে একসময় ক্যারিয়ার হিসেবে দেখা হত না। তিনি বলেন, ‘তখন বিহারে ক্রিকেটের কোনো প্ল্যাটফর্ম ছিল না (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাসপেনশনের কারণে)। বিশেষ করে সাসারামে যেখানে আমি থাকি। সেখানে ক্রিকেট খেলাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের আকাশ থেকে দূরে থাকতে বলতেন। সে পড়াশুনা করে না এবং তার সঙ্গে থেকে তুমি নষ্ট হয়ে যাবে।
আকাশের বাবা তাকে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে বলতেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে রাজ্য সরকারের বিহার পুলিশ কনস্টেবল বা গ্রুপ-4 কর্মচারীর পরীক্ষায় বসতে বলতেন। তিনি ওইসব সরকারি চাকরির আবেদনপত্র পূরণ করতেন, আমি পরীক্ষা দিতে যেতাম এবং ফাঁকা ফর্ম জমা দিয়ে ফিরে আসতাম।
এদিকে আকাশ ৬ মাসের মধ্যে তার বাবা ও বড় ভাইকে হারিয়ে পুরো পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে। তিনি বলেন, ‘৬ মাসের মধ্যে আমার বাবা ও ভাই মারা গেছেন। আমার এখন হারানোর কিছু ছিল না। পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে বলেই আমাকে কিছু করতে হবে এই অনুপ্রেরণা।
এক বন্ধুর সাহায্যে তিনি পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে একটি ক্লাবে খেলার সুযোগ পান, কিন্তু তার উপার্জন ছিল টেনিস বল ক্রিকেট খেলা থেকে। আকাশদীপ বলেন, ‘আমি আমার ক্লাবের তরফে লেদার বল ক্রিকেট খেলতাম, কিন্তু শুরুতে কোনও রোজগার ছিল না, তাই মাসে তিন-চার দিন টেনিস বল ক্রিকেট খেলতাম, যেখান থেকে 6000 টাকা আয় করতাম। প্রতিদিন. এভাবে আমি মাসে 20,000 টাকা আয় করতাম।
সব খবর সবার আগে জানতে অবশ্যই ফলো করুন আমাদের Google News। এছাড়াও যুক্ত হতে পারবেন সরাসরি আমাদের WhatsApp Channel এও।