Top 5: ধোনির জন্য এই ৫ ম্যাচ উইনার কে পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া, ২০২৩ বিশ্বকাপে করবেন কামাল !!

মহেন্দ্র সিং ধোনি হলেন ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। ২০০৭ সালের প্রথম টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ তার বুদ্ধির জোরেই ফাইনাল যেতে টিম ইন্ডিয়া। এবং ২০১১ সালে ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপে মহেন্দ্র সিং ধোনির করা ৯১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ইন্ডিয়াকে ফাইনাল জেতাতে সাহায্য করে, এবং ২০১৩ সালের তার নেতৃত্বে যেতেন ভারতবর্ষ। এবং পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হন চেন্নাই সুপার কিংস মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে।
ভারতীয় ক্রিকেট দল । বিশ্বকাপ ২০২৩ । IND vs PAK । রোহিত শর্মা । বিরাট কোহলি । সৌরভ গাঙ্গুলি । এম এস ধোনি । সচিন তেন্ডুলকর।
১. বিরাট কোহলি:-
শুরুর দিকে তিন চার নম্বরে নামতেন বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি তাকে নিচে নামার সুযোগ করে দেন। যার ফলে ভারতবর্ষ একজন মহান ব্যাটসম্যানকে পায় টপ অর্ডারে। বলাই যেতে পারে ধোনির জন্য বিরাট কোহলির ক্যারিয়ার তৈরি হয়েছে। বিরাট কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে, তিনি তার ক্যারিয়ারের এই পর্যন্ত ১০৯ টি টেস্ট আন্তর্জাতিক খেলেছেন, যার মধ্যে তিনি ১৮৫ ইনিংসে ৪৮.৭২ গড়ে ৮৪৭৯ করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট কোহলির ২৮ টি সেঞ্চুরি ও ২৮ টি হাফ সেঞ্চুরি রেকর্ড রয়েছে। সেই সঙ্গে, ওডিআইতে, তিনি তার ক্যারিয়ারের মোট ২৭৪ ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে তিনি ২৬৫ ইনিংসে ৫৭.৩২ গড়ে ১২৮৯৮ রান করেন। ওয়ানডেতে ৪৬ টি সেঞ্চুরি ও ৬৫ টি হাফ সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছেন বিরাট।
READ MORE:WI vs IND: “অবিচার হয়েছে আমার সাথে…” উইন্ডিজদের বিরুদ্ধে সুযোগ না পেয়ে এই মন্তব্য করে বসলেন রিঙ্কু !!
২. রোহিত শর্মা:-
শুরুর দিকে রোহিত শর্মা ব্যাটিংয়ে নাম দেন ৪-৫ নম্বরে, শর্মা প্রথম থেকে ট্যালেন্টেড প্লেয়ার ছিল কিন্তু শুরুর দিকে তার ট্যালেন্ট কোন কাজেই লাগেনি। ৪,৫ নম্বরে যখন তিনি খেলতেন বেশিরভাগ ম্যাচেই ফ্লপ খেতেন। ২০১৩ তে ধোনি তাকে প্রথম ওপেন করায় এবং পরবর্তীকালে রয়েছে ভাগ্য বদলে যায়। ধোনির জন্য রয়েছে আনমার ক্যারিয়ার তৈরি হয়েছে।
রোহিতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে, ৫০ টেস্টে ৮৫ টি ইনিংস খেলে ৩৪৩৭ রান করেন ৪৫.২২ গড়ে। এবং একদিনের খেলায় ২৪৩ ম্যাচে ২৩৬ ইনিংসে ৪৮.৬৪ গড়ে ৯৮২৫ রান করেন। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১৪৮ ম্যাচে ১৪০ ইনিংস খেলে ৩০.৮২ গড়ে ৩৮৫৩ রান করে।
৩. রবীন্দ্র জাদেজা:-
মহেন্দ্র সিং ধোনি উইকেটের পিছন থেকে অনেক সাহায্য করেছেন রবীন্দ্র জাদেজাকে। মুরলী কার্তিক ও পরাগন ওঝার মত স্পিনার থাকার সত্বেও চাঁদে জাদেজাকে সুযোগ করে দিয়েছেন। চেন্নাই সুপার কিংস চান্স দিয়েছেন, একসাথে খেলেছেন আইপিএল। এছাড়া ২০২১ সালে চেন্নাই সুপার কিংস এর অধিনায়কত্ব জাদেজার হাতে তুলে দেন। ধোনির জন্য রবীন্দ্র জাদেজার ক্যারিয়ার তৈরি হয়েছে। রবীন্দ্র জাদেজার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে, ৬৫ টেস্টে ৯৬টি ইনিংস খেলে ২৭০৬ রান করেন ৩৫.৬১ গড়ে। এবং ওডিআইতে ১৭৪ ম্যাচে ১১৮টি ইনিংসে ৩২.৮১ গড়ে ২৫২৬ রান করেন, এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ৬৪ ম্যাচে ৩৪টি ইনিংস খেলে ৪৫৭ রান করেন ২৪.০৫ গড়ে।
ঋষভ পন্থ । হার্দিক পান্ডিয়া । শুভমান গিল । গৌতম গম্ভীর । কে এল রাহুল । সূর্যকুমার যাদব । জাসপ্রিত বুমরাহ । জয় শাহ । রাহুল দ্রাবিড়।
৪. হার্দিক পান্ডিয়া:-
আইপিএলে হার্দিক পান্ডিয়া খুবই ভালো পারফর্ম করতেন, কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারতেন না। তাও মহেন্দ্র সিং ধোনি তাকে সুযোগ দেয়, এরপর ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচের লাস্ট ওভারে তাকে বলে দেন এবং তিনি ম্যাচ যেতেন। এখন হার্দিক টিমের ক্যাপ্টেন এবং ভবিষ্যৎ-এর অধিনায়ক। এক কথায় ধোনির জন্যই হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যারিয়ার তৈরি হয়। হার্দিক পান্ডিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ারের দিকে লক্ষ্য করলে, টেস্টে ১১ ম্যাচে ১৮টি ইনিংসে ৫৩২ রান করেছেন ৩১.২৯ গড়ে ও ১৭টি উইকেট নেন এবং ওডিআই তে ৭৪ ম্যাচে ৫৫ ইনিংসে ৩৩ গড়ে ১৫৮৪ রান করেন এবং ৭২ টি উইকেট নেন। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ৮৭ ম্যাচে ৬৭টি ইনিংসে ২৫.৪২ গড়ে ১২৭১ রান করেন ও ৬৯ টি উইকেট নেন।
৫. মোহাম্মদ শামী:-
মোঃ শামী প্রথম থেকেই একজন ভালো বলার ছিলেন। কিন্তু তার ফিটনেসের অভাব ছিল, একদমই তিনি ফিট থাকতেন না। তার আনফিট থাকার সত্বেও মহেন্দ্র সিং ধোনি তাকে চান্স দিয়েছেন। এক কথায় ধোনির জন্যই মোঃ সামির ক্যারিয়ার তৈরি হয়েছে। শামির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের কথা বলতে গেলে, ৬৪ টেস্টে ১২২টি ইনিংসে ৩.৩১ ইকমেনিকে ২২৯ উইকেট , ওডিআই ৯০টি ম্যাচে ৮৯ ইনিংসে ৫.৬১ ইকমেনিকে ১৬২ উইকেটএবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৩টি ম্যাচে ৮.৯৪ ইকমেনিকে ২৪ টি উইকেট নেন।