IND vs BAN: এইবছর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উত্তেজনাময় ভারত-পাকিস্তান খেলা হচ্ছে না। ভারত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়েছে। আর অন্য সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারত বনাম পাকিস্তান এর ফাইনাল ম্যাচের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই সম্ভাবনা তো দূরের কথা, দু’দলের কেউ ফাইনালেও উঠতে পারল না। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের একটি সেমিফাইনালে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছ ভারত। অন্য একটি সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তার ফলস্বরূপ রবিবারে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশ ও আমিরশাহি।
সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল IND vs BAN
বাংলাদেশের বোলিং-এর বিরুদ্ধে ভারতের ব্যাটিং (IND vs BAN) ব্যার্থ হয়েছে। টপ অর্ডার রান পায়নি। প্রথম চারজন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক জনই দু’অঙ্কে পৌঁছতে পারেন। মাত্র ৬১ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ভারতীয় দলের। দেখে মনে হচ্ছিল যেন ভারত ১০০ রানও করতে পারবে না। কিন্তু ধাক্কা সামলে ভারতীয় দলকে খেলায় ফেরান মুশির খান (Musheer Khan)। তাঁকে সঙ্গ দেন মুরুগান অভিষেক (Murugan Abhishek)।
তাঁরা নিজেদের মধ্যে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। মুশির খান ৫০ রান করে আউট হন এবং অভিষেক ৬২ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারেরা ২০ রান অতিরিক্ত দেন। ভারতীয় দল ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৮৮ রানে অল আউট হয়ে যায় । বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মারুফ মৃধা (Maruf Mridha)৪টি উইকেট নেন।
জবাবে রান চেজ করতে নেমে বাংলাদেশও শুরুতে ধাক্কা খায় । বাংলাদেশের প্রথম তিনজন ব্যাটার রান পাননি। ৩৪ রানে তাদের ৩ উইকেট পড়ে যায়। ভারতীয় সমর্থকদের একটা আশা সৃষ্টি হয়। কিন্তু আরিফুল ইসলাম (Ariful Islam) ও আহরার আমিন (Ahrar Amin)ভারতের কাছ থেকে খেলা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। তাঁরা চতুর্থ উইকেটে ১৩৮ রানের পার্টনারশিপ করেন। ভারতীয় বোলারেরা শত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই জুটি ভাঙতে সক্ষম হয় নি।
আমিন ৪৪ রান করে আউট হন। আরিফুলও নিজের সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি ৯৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তত ক্ষণে অবশ্য জয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪২.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলাদেশ।
অন্য দিকে গোটা প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচ না হারা সত্ত্বেও সেমিফাইনালে ধাক্কা খেতে হল পাকিস্তানকে। প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.৫ ওভারে ১৯৩ রান করে আমিরশাহি। তাদের হয়ে আর্যংশ শর্মা (Aryansh Sharma)৪৬, ইথান ডি’সুজা (Ethan D’Souza)৩৭ ও অধিনায়ক আয়ান আফজ়ল খান (Aayan Afzal Khan)৫৫ রান করেন। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে উবেইদ শাহ (Ubaid Shah)৪টি উইকেট নেন ।
রান চেজ করতে নেমে পাকিস্তানের অধিনায়ক সাদ বেগ (Saad Baig) ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যান রান পাননি। সাদ একাই ৫০ রান করেন। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দেন আজান আওয়াইস (Azan Awais)। কিন্তু বাকিরা রান করতে না পারায় পাকিস্তানের টীম সমস্যার সম্মুখীন হয়। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে ১৮২ রানে পাকিস্তান অল আউট হয়ে যায়। ১১ রানে জয়লাভ আমিরশাহি।
