Cricket News

“কোনো সন্দেহ নেই যে তিনি ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন” – প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রশংসা করলেন মহম্মদ কাইফ !!

“কোনো সন্দেহ নেই যে তিনি ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন” – প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রশংসা করলেন মহম্মদ কাইফ !!ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ৮ জুলাই ৫১ বছরে পা দিয়েছেন। অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের মধ্যে একজন হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি ২০০২ সালে।

বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, যুবরাজ সিং, জাহির খান, হরভজন সিং এবং আরও অনেক তরুণ খেলোয়াড়দের নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন, সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতের অধিনায়ক থাকা কালীন।

গাঙ্গুলীর হাতে তৈরি হওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হলেন মোহাম্মদ কাইফ। ২০০২ সালে বিদেশের মাঠে টেস্ট সিরিজের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে তার খেলা ৭৫ বলে ৮৭* রানের ইনিংসটি কখনোই ভোলার নয়। ওই ম্যাচে ভারতবর্ষ ২ উইকেটে জয়লাভ করেছিল , এবং মোহাম্মদ কাইফ ম্যানঅফদা ম্যাচের পুরুস্কার পেয়েছিল। কিছু দিন আগে কাইফ গাঙ্গুলীর অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছেন।

ডিডি ইন্ডিয়াতে মোহাম্মদ কাইফ বলেন, অধিনায়ক মনেই আপনাকে একজন নেতা হতে হবে, সঠিক খেলোয়ার নির্বাচন করতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে, এবং সাহায্য করতে হবে তাদের। এর আগে যেসব ঘটনা গুলো ঘটেছিল তারপরই গাঙ্গুলী দল গড়েছিল। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, জাহির খান, যুবরাজ সিং, হরভজন সিংকে নিয়ে এসেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী।

মোহাম্মদ কাইফ আরো বলেছেন যে, আমার এখনো মনে আছে গাঙ্গুলী আমাকে বলেছিলে আমাকে এখানে যেতে হবে এবং আমার সেরাটা দিতে হবে। তাছাড়া আমাকে সাহায্য করার জন্য তিনি আছেন। এটা একটা বড় মন্তব্য। আপনার যদি সৌরভ গাঙ্গুলীর মত অধিনায়ন থেকে, একজন যুবক হিসাবে, তাহলে আপনি ভারতের হয়ে খেলতে গর্ববোধ করবেন। তিনি ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, এবিষয়ে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।

ভারতীয় ক্রিকেট দল ওডিআই এবং টেস্ট ক্রিকেটে ৭৬ টি এবং ২১টি ম্যাচ জিতেছে, সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে। গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ২০০১ সালে ভারতবর্ষ অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যাবধানে হারায়। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের দেশের মাটিতে চার ম্যাচের সিরিজ ড্র (১-১) করেছিল ভারত গাঙ্গুলীরই নেতৃত্বে।

এছাড়া গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ২০০২ সালে ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যেতে। এবং তারই নেতৃত্বে ২০০৩ সালে ভারতবর্ষ বিশ্বকাপে রানার-আপ হয়েছিল।

Back to top button