IND vs AUS: দুদিন আগে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (IND vs AUS) দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে অসাধারণ শত রান হাকান শুভমান গিল (Shubman Gill)। ঐদিন অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের গিল খুবই তুলোধোনা করেন। ঐদিন গ্রিল একা নন তার সঙ্গে শ্রেয়াস আইয়ার (Shreyas Iyer), কেএল রাহুল (KL Rahul), সূর্য কুমার যাদবও (Surya Kumar Yadav) খুবই দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বড় রান করেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এমন অসাধারণ ব্যাটিংয়ের জোরেই ৩৯৯ রান করে ভারত। ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (IND vs AUS) করা সর্বোচ্চ রান। ঐ দিন সহজ ভাবেই ভারতীয় দল ম্যাচটি জিতে যায়। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।

আসন্ন ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে গিলের এমন দুর্দান্ত ছন্দ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার দ্বিধা রাখে না। আমরা সকলেই জানি ভারতীয় ক্রিকেট দল দীর্ঘদিন ধরেই টপ অর্ডারের সমস্যায় ভুগছেন। তাই ওই দিক থেকে বর্তমানে গিল ভালোই আশা-ভর্সা দিচ্ছেন। ঘরের মাটিতে তার করা এমন সুন্দর ইনিংস যেন এটাই প্রমাণ করেছে। কিন্তু এরই মাঝে উঠে আসলো চাঞ্চল্য, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ (Virender Sehwag) গিল কে নিয়ে করলেন বড় মন্তব্য। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেহওয়াগ ভারতের তরুণ ওপেনার কে নিয়ে কি মন্তব্য করলেন।

আসলে সেহওয়াগের মতে গিল ওই দিন আরও বেশি রান করা উচিত ছিল। সেহওয়াগ বলেন, “শুভমান গত ম্যাচে শতরান করতে পারেননি। কিন্তু এই ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছে। কিন্তু আমার যেন মনে হচ্ছে গিল এমন ছন্দে রয়েছে, সে এখনো ১৬০ থেকে ১৮০ রান করতে পারতো। এর অন্যতম কারণ তার বয়স মাত্র ২৪ বছর। বর্তমানে সে অনেক বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রাখে। অবশ্য সে যদি এই ম্যাচে ২০০ রানও করত তাহলে কোন ক্লান্তি বোধ অনুভব করত না। যদি গিল ৩০ বছর বয়সে গিয়ে এই রান করত তাহলে ক্লান্ত বোধ করত। তখন এক্ষেত্রে ব্যাটিং করার পর ফিল্ডিং করতে অনেকটাই অসুবিধা হত।।”
ঘরের মাটিতে যে কতটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তা আমরা সকলেই জানি। কারণ এই মাঠেই ২০১১ সালে বিরু ওয়েস্ট ইন্ডিজদের বিরুদ্ধে ২১৯ রান করেছেন। পাশাপাশি বর্তমান দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও এই মাঠে বড় রান হাকিয়েছেন। বড় রান করার জন্য এটি ভালো উইকেট যেটা সেহওয়াগ বুঝিয়ে দিয়েছেন।

ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আরও বলেছেন, “তুমি যখন খুবই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছো এবং ধারাবাহিকতায় রান করছো তখন বিপক্ষ দলকে উইকেট উপহার দিয়ে আসলে চলবে না। গিল যখন আউট হয় তখন এখনো ১৮ ওভার বাকি ছিল। যার কারণে এখনো ৮ থেকে ১০ ওভার ফেলে আশায় যেত। সেই ক্ষেত্রে ২০০ রান করাটা কোন ব্যাপারই ছিল না। স্টেডিয়ামের উইকেট হোলকারের মত। কিন্তু শুভমান গিল নিজের উইকেট দিয়ে আসেন। অবশ্য তার বয়স কম হলেও অনেকটাই অভিজ্ঞতা বেড়েছে। ভারতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান হয়ে সে কেন এমন করল তা আমার জানা নেই।”