সামনেই আসছে আইপিএল।আসন্ন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের দলে আবার ফিরিয়ে এনেছে মণিশ পান্ডেকে। আর এবার সেই মণিশ পাণ্ডের ঝোড়ো মেজাজ দেখেই এবার পুলকিত হয়ে উঠল কলকাতা নাইট রাইডার্স।কর্ণাটকের এই তারকা ব্যাটার রঞ্জি ট্রফিতে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে কার্যত ব্যাজবল ক্রিকেট খেললেন। মণিশের ইনিংশের উপর ভর করেই রঞ্জির লিগ পর্বের শেষ রাউন্ডে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজে কর্ণাটক দল।
শনিবার সকালে ভারতের ঘরোয়া লাল বলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট রঞ্জিট্রফির ম্যাচে কর্নাটকের বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় ২৬৭ রানে আউট হয়ে যায়, এরপর ব্যাট করতে নামে কর্ণাটক। কর্ণাটক দলের স্কোর যখন ১১৫ তখন তাদের তিন উইকেটের পতন হয়েছিল। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে আসেন তারকা ব্যাটার মণিশ পাণ্ডে।ব্যাট করতে এসে একেবারে ঝোড়ো মেজাজে ধরা দেন তিনি।লাল বলের ক্রিকেটে মাত্র ৯৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ব্যাজবলের মতোই তিনিও এদিন চণ্ডীগড়ের বোলারদের বেধরক পেটান।
মণিশ অবশ্য শুরুতে একটু ধীর গতিতেই ছিলেন,৭১ বলে করেছিলেন ৫১ রান। এরপর শুরু হয় আসল খেলা। মাত্র ২৪ বলে তিনি ৪৯ রান করেন। তার এই মারকাটারি ইনিংসে ১৪টি চার এবং তিনটি ছক্কা ছিল। হাফসেঞ্চুরি করা অবশি খুবই শান্ত মেজাজে ব্যাট করলেও হাফসেঞ্চুরির গন্ডি পার করার পর একেবারে ঝড়ের গতিতে রান তোলেন তিনি।তিনি শেষ অবধি ১০১ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে সঙ্গ দিয়েছেন হার্দিক রাজ,যিনি চারে নেমে ১১৬ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করেছেন। ওই দিনের শেষে কর্ণাটক দলের স্কোর হয় ৩ উইকেটে ২৬৮ রান।
প্রথম দিনের শেষে চণ্ডীগড়ের রান ছিল ৬ উইকেটে ২১৯ রান। দ্বিতীয় দিন মাত্র ৪৮ রানের মধ্যে সমাপ্ত হয় তাদের ইনিংস। চণ্ডীগড় দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ৭৯ রান করেন তাদের ব্যাটার কর্ণ কালিয়া। এটাই তাদের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর। কর্ণাটকের হয়ে বিজয়কুমার বৈশক এবং হার্দিক রাজ চারটি করে উইকেট নিয়েছে।এরপর কর্নাটক ব্যাট করতে নামে।তাদের প্রথম উইকেটের পতন হয় মাত্র ৮ রানে।এরপর দলেই ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক ময়াঙ্ক আগরওয়াল এবং নিকিন জোস হাল ধরেন।ময়াঙ্কের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। এরপরই শুরু হয় মণিশ পান্ডের এই দূর্দান্ত ইনিংস।
IPL 2024: আবারও নিজের ভুলের পুনরাবৃত্তি করলেন KKR-এর ফাস্ট বোলার হরষিত রানা, হল জরিমানা !!