IND vs ENG: বহু অপেক্ষার পর দেশের হয়ে রাজকোটে অভিষেক হয়েছিল তার।সুযোগ পেয়ে সদ্ব্যবহার করতে ভুল করেননি মুম্বাইয়ের খান সাহেব সরফরাজ খান। ব্যাট করতে নেমেই দূর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন সরফরাজ।ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নিজস্ব ছন্দে ৬২ রান করেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজার রান নেওয়ার আবেদনে সাড়া না দিলে হয়ত প্ৰথম ইনিংসেই শতরানের গন্ডিও টপকাতেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁর ব্যাট থেকে অপরাজিত ৬৮ রান এসেছিল। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।
এই ইনিংসের পর সরফরাজকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে হঠাৎ ধন্যধন্য পড়ে গিয়েছিল।তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই চমৎকার ইনিংসের প্রশংসার পর এবার সমালোচনার ঝড় উঠল তাকে নিয়ে।রাঁচিতে ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হন সরফরাজ খান,যা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি ।
রাঁচিতে চ্যালেঞ্জিং উইকেটে চাপের মুখে প্ৰথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪ রান করে তিনি আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় ইনিংসেও কিছুই করতে পারেননি তিনি। মরণ-বাঁচন মুহূর্তে মাত্র ১ বলে গোল্ডেন ডাক আউট হয়ে বিদায় নেন তিনি। প্ৰথম ইনিংসে টম হার্টলের ফুল লেন্থের বল স্লিপে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন,দ্বিতীয় ইনিংসে শোয়েব বশিরের শিকার তিনি। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটে-প্যাডে লেগে বল ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা অলি পোপের হাতে ক্যাচ উঠে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে সেই সময় জীবন হাতে রেখে ব্যাটিং করছিলেন নবাগত উইকেট কিপার ব্যাটার ধ্রুব জুরেল এবং শুভমান গিল। ভারতের শেষ স্বীকৃত জুটি ছিল তারাই। তবে এতকিছুর মধ্যেও টেনশনের কোনও রকম চিহ্নই ছিল না সরফরাজ খানের মধ্যে। ড্রেসিংরুমে তাঁকে কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজদের সঙ্গে বেশ খোশমেজাজে দেখা যাচ্ছিল।
আর এতেই নেটিজেনদের ধৈর্য্য হারায়।নিজে তো ফ্লপ ছিলেনই, তাছাড়া দলের এত বড়ো সমস্যাতেও কোনোরকম ভ্রুক্ষেপ না থাকায় নেটিজেনদের রোষানলে পড়েন তিনি।ভারতকে অবশ্য জয় এনে দেয় ধ্রুব জুরেল এবং শুভমান গিলের ব্যাটিং। গিল হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। ধ্রুব জুরেল আরও একবার চাপের মুখে ৩৯ রানে নটআউট থাকেন। দুজনের মিলিত ৭২ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপেই ভারতের জয় আসে।
সর্বশেষ খবর খেলাধুলার জগৎ-এর গুগল নিউজ চ্যানেলে।
সব খবর সবার আগে জানতে অবশ্যই ফলো করুন আমাদের Google News। এছাড়াও যুক্ত হতে পারবেন সরাসরি আমাদের WhatsApp Channel এও।