Sourav Ganguly: চার বছরেরও বেশি সময় টি-টোয়েন্টি (T-20) ফরম্যাটে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার পর ২০২২ সালের শেষের দিকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সেই সময় বিসিসিআইয়ের(Board Of Control For Cricket In India) সভাপতি পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)।অনেক ভক্তরা মন্তব্য করেছিলেন বেসিসিআইয়ের সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর সৌরভ গাঙ্গুলীর কলকাঠির কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলি।
এরপর থেকেই দুই প্রাক্তন অধিনায়ক এর মধ্যে তিক্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তবে সম্প্রীতি দাদাগিরি(Dadagiri) খেলার সময় যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিলেন মহারাজ (Sourav Ganguly)। তিনি এই রিয়েলিটির শোতে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন বিরাটের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পেছনে তার কোনো হাত ছিল না।
সম্প্রীতি দাদাগিরির মঞ্চে যাবতীয় ধোঁয়াশা দূর করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। দাদাগিরির একটি এপিসোডে সৌরভের সামনে একটি ভিডিও চালানো হয় যেখানে বলা হয় বিরাটকে ভারতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেন সৌরভ গাঙ্গুলী, পাশাপাশি ভিডিওটিতে এটাও বলা হয় রোহিত কে অধিনায়ক বানিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ভিডিওটি শেষ হওয়ার পর গাঙ্গুলী বলেন, ভিডিওটি পুরোপুরি সত্য না।
আমি এর আগেও অনেক জায়গায় বলেছি বিরাটকে ক্যাপ্টেন্সির পর থেকে সরানোর পিছনে আমার কোন হাত নেই। বিরাট টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্যাপ্টেন্সি করতে চাইনি ।তখন আমি শুধু বিরাট কে বলেছি তুমি যখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্সি করবে না, তাহলে হোয়াইট বল থেকে ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দাও। তাহলে একজন হোয়াইট বলে ক্যাপ্টেন্সি করুক আর একজন রেড বলে।
যদিও এরপর হোয়াইট বলের সাথে সাথে রেড বলের ক্যাপ্টেন্সিও ছেড়ে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর রেড বলে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পড়ে রোহিত শর্মার উপর। রোহিত শর্মার অধিনায়ক পদে নিযুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে গাঙ্গুলী বলেন, রোহিতকে ক্যাপ্টেন করার পিছনে তার বেশ চাপ ছিল। কারণ রোহিত তিনটি ফরম্যাটে দলের অধিনায়কত্বের ভার নিজের উপর নিতে চাইছিল না। তাই রোহিতকে ক্যাপ্টেন করার পিছনে আমার কিছুটা অবদান আছে। গাঙ্গুলি এই প্রসঙ্গে আরো যোগ করেন, যে যত বড়ই পরিচালক হোক না কেন মাঠে ভালো খেলতে হয় খেলোয়ারদেরই।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর থেকে তাকে আর কোন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে দেখা যায়নি। সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়ায় বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ তিনি খেলেননি, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাদা বলে সিরিজ থেকে বিশ্রাম চেয়ে নিয়েছে বিরাট ও রোহিত উভয়ই। সৌরভ এই বিষয়ে বলেছেন, বিশ্বকাপের চাপ সামলে এই সিরিজ খেলা সহজ নয়। তারা বিশ্রাম নিয়ে ঠিকই করছেন।
আশা করছি তরতাজা হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লাল বলে খেলতে নেমে ভালো ফলাফল করবে তারা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরেই জুন মাসে শুরু হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট(Virat Kohli) ও রোহিত(Rohit Sharma) অংশগ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত জানায়নি। বোর্ডের তরফ থেকেও এ বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটানো হয়নি।
একেবারে শেষে সৌরভ বলেন,” ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য বিসিসিআই আমাকে সভাপতি পদে নিযুক্ত করেছেন,আর আমি সেটাই করছি ।সৌরভ নানান ভাবে নিজের বক্তব্য পেশ করে ব্যাপারটি সহজ করার চেষ্টা করলেও, বিরাট ভক্তরা তা মানতে নারাজ। সৌরভ একসময় নিজেই জানিয়েছিলেন, বিরাট কে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়তে তিনি নিজেই বারণ করেছিলেন। কিন্তু বিরাট এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বোর্ডের কেউই এ বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি বরং তাকে আরো উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল এই সিদ্ধান্তে জন্য।