Sourav Ganguly: সৌরভের হাতে গড়া এই ৩ প্লেয়ার বাঁচিয়েছে ধোনির ক্যারিয়ার !!

ধোনি এবং সৌরভের বন্ধুত্ব অনেক গভীর যা আমরা মাঠে দেখেছি মাঠে কেন মাঠের বাইরেও, তাদের সম্পর্ক খুবই ভালো তারা দুজনেই মহান ক্রিকেটার। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক, সবাই এককথায় ক্যাপ্টেন কুল নামে চেনেন, যার ভালো নাম ‘ মহেন্দ্র সিং ধোনি ‘ (Ms Dhoni) সারাবছরই ট্রেডিং। শেষবার এর মত ধোনি ভারতীয় দলের জার্সি তে মাঠে নেমেছিল ২০১৯ সালে। ভারতীয় দল এনার নেতৃত্বে তিনবার আইসিস ট্রফি জিতেছে। ধোনির নেতৃত্বে ভারত শেষবার আইসিস ট্রফি পায় ইংল্যান্ড কে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনালে হারিয়ে।
ভারতীয় ক্রিকেট দল । বিশ্বকাপ ২০২৩ । IND vs PAK । রোহিত শর্মা । বিরাট কোহলি । সৌরভ গাঙ্গুলি । এম এস ধোনি । সচিন তেন্ডুলকর।
বাঙালির ছেলে সৌরভ গাঙ্গুলী সব সময় তরুণদের পাশে দাঁড়াতেন। যেমন হরভজন সিং ১৯৯৮ আট সালে অভিষেক করেন, করার পর তাকে আর চান্স দেওয়া হয়নি সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে চান্স দিয়েছিলেন এবং সেই সময়কার সেরা বলার ছিলেন হরভজন সিং। এছাড়াও আমরা দেখেছি তার পরবর্তীকালের অস্বাভাবিক বোলিং। যুবরাজ সিং বারবার ফ্লপ হওয়ার সত্বেও তাকে খেলিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী যার ফলে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে একটা বড় ব্যবধান রয়েছে যুবরাজের, এমনকি টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপেই নয়, বিশ্বকাপেও ২০১১ সালে যুবরাজ সিং ছিলেন ম্যান অফ দ্যা সিরিজ।
১. যুবরাজ সিং:-
আমরা দেখেছি শুরুর দিকে যখন যুবরাজ সিং খেলতেন তখন প্রত্যেকটা ম্যাচে ফ্লপ, কিন্তু তার ফ্লপ খাওয়ার সত্ত্বেও বাংলা রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে সুযোগ করে দেন। যার ফলে যুবরাজ সিং পরবর্তী কালে একটি বড় মাপের প্লেয়ার তৈরি হন, আমরা সকলেই জানি তার ব্যবধান, ভারত দুটি ওয়ার্ল্ড কাপ যেতে একটা টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ একটা ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপ, সেই ওয়ার্ল্ড কাপে যুবরাজ সিং এর ব্যবধান অনেক বেশি, সুতরাং তার নামে যতই বলা হবে ততই কম। যুবরাজ সিং এর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দিকে তাকালে, তিনি তার ক্যারিয়ারের এই পর্যন্ত ৪০টি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে ৬২টি ইনিংস খেলে ৩৩.৮২ গড়ে ১৯০০ রান করেন, এবং ৩০৪ টি আন্তর্জাতিক ওডিআই ম্যাচে ২৭৮ টি ইনিংস খেলে ৩৬.৫৫ গড়ে ৮৭০১ রান করেছিলেন।
২. বীরেন্দ্র সেহবাগ:-
প্রথম দিকে বীরেন্দ্র শেবাগ ব্যাটিংয়ে নামতো ৩,৪ নম্বরে, সৌরভ গাঙ্গুলী সেবাকে একদিন বলেন ওপেনিংয়ে নামতে তারপরে ওপেনিংয়ে নামেন বীরেন্দ্র সেহাব ওপেনিং-এ নেমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাকান তিনি তারপর থেকে ইন্ডিয়া একটি শক্তপোক্ত ওপেনার পান। ভারতের দুটি বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে অনেক অবদান রয়েছে বিরেন্দ্র সেহবাগ-এর। এনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দিকে তাকালে, তিনি তার ক্যারিয়ারে এই পর্যন্ত ১০৪টি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে ১৮০টি ইনিংস খেলেন ৪৯.৩৪ গড়ে ৮৫৭৬ রান করেন। এবং একদিনের খেলায় ২৫১ ম্যাচে ২৪৫ ইনিংস খেলেন ৩৫.০৫ গড়ে ৮২৭৩ রান করেন।
ঋষভ পন্থ । হার্দিক পান্ডিয়া । শুভমান গিল । গৌতম গম্ভীর । কে এল রাহুল । সূর্যকুমার যাদব । জাসপ্রিত বুমরাহ । জয় শাহ । রাহুল দ্রাবিড় ।
৩. জাহির খান:-
যেকোন ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে সক্ষম এই বাঁ-হাতি পেস বোলার। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সেরা লেফট হ্যান্ড বলার যদি কেউ থাকে তাহলে জাহির খানের নাম সবার প্রথমে উঠে আসবে। ২০০৩ সালের ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপে বাজে পারফরম্যান্স করেন এই বাঁ-হাতি পেসার, তার সত্বেও বারবার তাকে সুযোগ দেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তারপরে আমরা সকলেই জানি ভারতীয় ক্রিকেট টিমের হয়ে তার অবদান কতটা আছে। জাহির খানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দিকে তাকালে, তিনি তার ক্যারিয়ারে এই পর্যন্ত, ৯২টি টেস্ট ম্যাচে ১৬৫ ইনিংসে ৩১১টি উইকেট নেন ৩.২৭ ইকোমেনিক রান-রেটে। এবং ওডিআইতে ২০০ ম্যাচে ১৯৭ ইনিংসে ২৮২টি উইকেট নেন ৪.৯৩ ইকোমেনিক রান-রেটে।