Sourav Ganguly: সৌরভের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত রাতারাতি বদলে দেয় ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কে !!

আমরা আগেও দেখেছি সৌরভ গাঙ্গুলী বহু প্লেয়ার কে সুযোগ করে দিয়েছেন, এমনকি খারাপ খেলার সত্বেও বারংবার সুযোগ দিয়েছেন। ২০০৩ সালের ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপে বাজে পারফরম্যান্স করেন জাহির খান, তার সত্বেও পরবর্তী কালে তাকে খেলার সুযোগ দেন সৌরভ গাঙ্গুলী। এরপর জাহির একজন বড় মাপের বলার হয়ে ওঠেন। যেকোন ব্যাটসম্যানকে নিজের বোলিংয়ের দক্ষতায় পরাস্ত করতে সক্ষমও হয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি পেসার।
ভারতীয় ক্রিকেট দল । বিশ্বকাপ ২০২৩ । IND vs PAK । রোহিত শর্মা । বিরাট কোহলি । সৌরভ গাঙ্গুলি । এম এস ধোনি । সচিন তেন্ডুলকর।
ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সেরা লেফট হ্যান্ড বলার যদি কেউ থাকে তাহলে জাহির খানের নাম সবার প্রথমে উঠে আসবে। পাশাপাশি, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র সেহবাগদের খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ান দাদা, ফ্লপ হলেও একাধিক সুযোগ দিয়েছেন তাদের। যার ফলে এনারা পরবর্তী কালে বড় মাপের প্লেয়ার হয়ে ওঠেন। ঠিক একইভাবে সৌরভ গাঙ্গুলী ধোনি কেউ সুযোগ করে দেন।
তখনকার সময়ে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমে ভালো উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান ছিল না। দীনেশ কার্তিক , দ্বীপদাস গুপ্তা এমনকি রাহুল দ্রাবিড় কেও ট্রাই করা হয়েছিল। এরা সকলেই ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাল ছিলেন কিন্তু উইকেট কিপার হিসেবে ভালো ছিলেন না কেউই। তবে ধোনির মধ্যে চেষ্টা ছিল সেরার সেরা হওয়ার, প্রথম দিকে চার-পাঁচ নম্বরে নেমে প্রথম চারটে ইনিংস ফ্লপ যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির, তারপর বাংলার রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে বলেন দুই নম্বরে খেলতে তখন ধোনি বলেন আপনি, তখন গাঙ্গুলী বলেন আমি তিন নম্বর খেলে নেবো তুমি দু’নম্বরে যাও, এবং মজার ব্যাপারটা এখানেই দু নম্বরে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি সেঞ্চুরি হাকান।
ঋষভ পন্থ । হার্দিক পান্ডিয়া । শুভমান গিল । গৌতম গম্ভীর । কে এল রাহুল । সূর্যকুমার যাদব । জাসপ্রিত বুমরাহ । জয় শাহ । রাহুল দ্রাবিড় ।
আজ যদি সৌরভ গাঙ্গুলী ওই সুযোগটি না দিত তাহলে ভারতবর্ষ হয়তো ক্যাপ্টেন কুলকে পেতেনই না। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক হন, তারপর পরে পরেই ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ যেতেন তারপরে ২০১১ সালে ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপ জেতেন এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যেতেন। ভারতীয় ক্রিকেট টিম ধোনির অবদান অনেকটাই যা বলে শেষ করার মত নয়। সব থেকে বড় একজন অধিনায়ক হিসেবে মাঠের যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি নিজের মাথাটাকে ঠান্ডা রেখে যেকোনো পরিস্থিতি ম্যাচ বার করে আনতেন, যার জন্য তার সাপোর্টাররা নামকরণ করেন ক্যাপ্টেন কুল হিসাবে।