ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপে (WC 2023) ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। জিম্বাবুয়েতে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে পরপর ম্যাচ হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ভারতের টিকিট কাটতে পারেনি। মাঠের মধ্যেই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। সেই সাথে ক্যারিবিয়ান সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েন।
ক্যারিবিয়ান সমর্থকরাই শুধুমাত্র নয়, এটা যেন গোটা বিশ্বের কাছে এক অবাক হওয়ার মতো বিষয়। একটা সময় বিশ্ব ক্রিকেটকে যে দেশ দাপিয়ে বেড়াতো, আজ আসন্ন বিশ্বকাপে তারাই জায়গা করে নিতে পারেনি। এমন ঘটনায় অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটাররা অবাক হয়েছেন। তাই শুধু নয়, বরং ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার এবং বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
Read More: WI vs IND: অল্পের জন্য শিখর ধাওয়ানের এই রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না যশস্বী !!
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, অনেক তারকা ক্রিকেটার ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে ঝামেলায় জড়িয়েছেন , তারা দেশের হয়ে খেলতে চাইছেন না। তারা বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন। সেটা একটি দেশের ক্রিকেটের জন্য মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয় বলেই জানিয়েছেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার। এবার প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন।
তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আমার প্রথম সফর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ঐতিহ্য কী সেটা আমি জানি। বিশ্ব ক্রিকেটকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কত কিংবদন্তির জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তাদের খেলা দেখে বড় হয়েছে। তাদেরকে বিশ্ব ক্রিকেটকে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ক্লাইভ লয়েড, মার্শাল, ভিভ রিচার্ডস, অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতো ক্রিকেটাররা খেলেছে। আমাদের সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট মানে বিশাল ব্যাপার ছিল। এতজন তারকাদের বিরুদ্ধে খেলা। সত্যিই ভোলার নয় সেই কথা। এক আলাদা মাত্রা যোগ করে।”
পুরনো দিনের কথা শুধু নয়, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গাভাস্কার বললেন, “এখন টেস্ট ম্যাচ খেলছে অথবা টি-টোয়েন্টি খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। বিশ্বের সব প্লেয়াররা জানে এক বছরের চুক্তি রয়েছে তাদের। ফলে যাই খেলি না কেন আমি টাকা পাবো। আগে এটা বন্ধ করা উচিত। বার্ষিক চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের খেলা দেখে বোঝাই যায় না যে তারা দেশের হয়ে খেলছে। তবে আমার মত অনুযায়ী টেস্ট ম্যাচের ফি বাড়িয়ে দেওয়া হোক এই বার্ষিক চুক্তি বন্ধ করে। সেই সাথে প্রত্যেকটি ম্যাচে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখে তাদের আর্থিক পুরস্কার করা হোক। তাহলে যদি নিজেদের সেরাটা দিয়ে ক্রিকেটাররা খেলার চেষ্টা করে।”
এই মুহূর্তে এই ক্যারিবিয়ান দল ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলছে। যার মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে তারা। এর পাশাপাশি তারা ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় প্রত্যেকেই হতাশ হয়ে পড়েছে।
