“অধিনায়ক হওয়ার কোনো যোগ্যতাই নেই”, সাকিব আল হাসানের উপর চটেছেন সেহওয়াগ !!

ডি এল এস মেথডে ভারতীয় দল ডু অর ডাই ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে ৫ রানে পরাজিত করল, ভারতীয় দল গ্রুপ তালিকায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল অর্ধশতরাণ করেছেন ভারতীয় দলের হয়ে,৫০ রান করেছেন ৩২ বলে লোকেশ রাহুল এবং বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৬৪ রান করেছেন, ভারতীয় শিবির চিন্তিত প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক দুজনকে ফর্মে দেখে। ২০ ওভারে ভারতীয় দলে ১৮৪ রান করতে সক্ষম হয়েছিল।
লিটন দাস জবাবে ব্যাটিং করতে এসে পাওয়ার প্লের ভিতরেই অর্ধশতরন করে ফেলেন, কিন্তু ৭ম ওভার পরে ম্যাচের বিঘ্নতা ঘটায় বৃষ্টি, খেলা পুনরায় শুরু হলে ১৬ ওভারে ১৫০ রান তোলার প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, খেলা শুরু হতে না হতেই লিটন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রান আউট হয়ে লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত থ্রোতে, চার ওভারের মধ্যেই আউট হয়ে শান্ত, আফিফ, সাকিব, ইয়াসির, মোসাদ্দেক প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। দলের হয়ে লিটন ছাড়া নুরুল হাসান ১৪ বলে ২৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন। ৯ রানের প্রয়োজন ছিল শেষ ওভারে বাংলাদেশ তা তুলতে ব্যর্থ হয়।
সাকিবকে ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ বর্ণনা করেছেন বাহানাবাজ বলে। তিনি বললেন, “বাংলাদেশ যখন খারাপ অবস্থায় ছিল তখন তাদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান। সে যদি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতো তাহলে তারা জিততে পারত।”
সেহওয়াগের মতে, “সাকিব আল হাসানের কোন যোগ্যতা নেই বাংলাদেশের অধিনায়ক হওয়ার। সাকিব ব্যাটিং করার সময় কোনো দায়িত্ব নেন না , বাংলাদেশ দল ঘন ঘন উইকেট হারাচ্ছিল রান চেজের সময়, আমি মনে করি অধিনায়ক সাকিব নিজেই ব্যর্থ। সাকিব আল হাসান একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার তাকে শেষ পর্যন্ত খেলা উচিত ছিল বিরাট কোহলির মত। তিনি পারতেন ওই কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে বার করতে।”
সাকিব আল হাসান ম্যাচ শেষ বলেন, “আমরা খুব একটা ক্লোজ ম্যাচ খেলি না। যার কারণে কিভাবে জিততে হয় তা জানিনা। প্রথমে আমাদের টার্গেট ছিল ১৮৫ এবং তারপরে সেটি হয়ে যায় ১৫১। যেটা অবশ্যই তোলা যেত। তবে আমরা জিততে ব্যর্থ হয়েছি। এটা সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞতার জন্যই হয়েছে। আমি চিন্তা করছিলাম ৯ ওভার ৮৫ রান সহজেই উঠে যাবে তবে ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমার একটি সুন্দর স্পেল করেছে, যেহেতু আমরা ক্লোজ ম্যাচ খেলি না সেহেতু এই পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হয় তা আমরা জানি না, তার জন্যই জয়ের মুখোমুখি হয়েও হারতে হলো।”