T20 World Cup: “ভুয়ো ফিল্ডিং’ বিতর্কে বিরাটের পাশে ট্যুইটারভার্স, নেটিজেন’দের তোপের মুখে বাংলাদেশের উইকেট রুক্ষক নুরুল হাসান !!

India Vs Bangladesh ম্যাচ মানেই যেন বিতর্ক। সেই দেশের জনগণ থেকে খেলোয়াড় কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না বাংলাদেশের হার। তারা দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে পান ভারত জিতলেই। মাঝে মধ্যে সমাজ মাধ্যমে ‘আম্পায়ার চুর’, ‘২০১৫ সালে রোহিত শর্মা আউট ছিলো’ নিয়ে তরজা শুরু হয় । সেই গল্পে এক নতুন অধ্যায় যোগ করল ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচটি।
যিনি যোগ করলেন তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন ‘টিম টাইগার্সে’-এর উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান। তিনি সরাসরি ‘প্রতারক’ প্রতিপন্ন করতে চাইলেন ভারতের ‘সুপারস্টার’ বিরাট কোহলি’কে। অ্যাডিলেডে বিরাট নাকি ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করেছেন। আর তা নিয়ে আম্পায়ার’রা কোন ব্যবস্থা নেন নি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অ্যাডিলেডে গ্রুপ-২ এর ম্যাচে টসে যেতেন। তিনি ব্যাট করতে পাঠান ভারতকে। রোহিত শর্মা শুরুতেই আউট হলেও কে এল রাহুল ও বিরাট কোহলি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। ৩২ বলে ৫০ রান করেন রাহুল। কোহলি ৪৪ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৬ বলে সূর্য কুমার যাদব ৩০ রান করেন। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৪ রান করেন।
লিটন দাস ধুন্ধুমার শুরু করেন জবাবে ব্যাট করতে নেমে। ভারতীয় বোলাররা ভেবে পাচ্ছিলেন না অদম্য লিটনকে থামানোর উপায় কি। তখন আশীর্বাদ হয়ে বৃষ্টি আসে। লিটন(২৭ বলে ৬০) রান আউট হয়ে ফিরে যান বৃষ্টির বিরতির পরে। তারপরেই টাইগার্স’রা ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়। নুরুল আর তাসকিন শেষ দিকে চেষ্টা করলেও বাংলাদেশ ইনিংস থেমে যায় ডাকওয়ার্থ ল্যুইস নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৫ রানের আগে।
বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি ‘টাইগার্স’ ওপেনারদ্বয়, লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত দুই রান নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ডিপ পয়েন্টের দিকে ঠেলে । উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিকের দিকে অর্শদীপ সিং বল কুড়িয়ে ছোঁড়েন। নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের দিকে পয়েন্টে দাঁড়ানো কোহলি হঠাৎই বল ছোঁড়ার ভঙ্গি করেন। দেখা যায় তখন তার আশেপাশেও বল ছিল না।
কোহলি কে খেয়াল করেননি মাঠে উপস্থিত দুই আম্পায়ার মারে ইরাসমাস ও ক্রিস ব্রাউন। এমনকি কোন অভিযোগ জানান নি দুই বাংলাদেশি ব্যাটার। তারা কোহলির দিকে দেখেই নি। নিজের গতিতে ম্যাচ চলছিল। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে নুরুল হাসান মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ হারতেই। ৫ রান ছিল বাংলাদেশের হাড়ের ব্যবধান। আর তার দাবি যেহেতু ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করেছেন কোহলি সেহেতু তাদের ‘পেনাল্টি’ ৫ রান প্রাপ্য ছিল।
যদিও ৪১.৫ বলেছে আইসিসির নিয়মাবলীর ধারা, যদি কেউ ভুয়ো ফিল্ডিং-এর অঙ্গভঙ্গি করেন ব্যাটারদের বোকা বানাতে তাহলে ৫ রান অতিরিক্ত দিতে পারবেন মাঠে উপস্থিত আম্পায়াররা ব্যাটিং টিমকে। এক্ষেত্রে এই বিষয়টি দুই বাংলাদেশ ব্যাটারের কেউই লক্ষ্য না করায় তাদের বোকা বানানোর চেষ্টা হয়েছিল কতদূর এই যুক্তিটি ধোপে টেকে তা অবশ্য দেখার।
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক নিয়ে নানান মত থাকতে পারে, বিরাটের পাশে আছে ট্যুইটারভার্স। হারলেই অজুহাত দেওয়া বাংলাদেশের পুরনো রোগ অনেক ট্যুইটার ব্যবহারকারী তা মনে করিয়ে দিয়ে ক্ষোভ রেখেছেন। ভারতের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশি নেট নাগরিকদের খেলার মাঠে নিয়ে তোলা অভিযোগ তারা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, খেলায় পরাজয় থাকে জয়ের পাশাপাশি, এবার পূর্বের পড়শিরা সেসব মানতে শিখুক।
#ViratKohli #NurulHasan #FakeFielding #INDvsBAN
1. Kohli's Action didn't obstruct a Run
2. There was No Run Out
3. Umpire First Warns the Fielder & penalty is given if action is repeated
4. If first two points had happened then it's Real Cheating.Good Luck Nurul Hasan 👍
— g0v!ñD $#@®mA (@rishu_1809) November 3, 2022
Fake Fielding means " Obstruction of the Batter ". But how to fake field Kohli to Bangla players..😀😀
In that Moment not any batter disappointed becoz of Both r safely reached the crease..
But why nurul hasan Claim the 5 penalty runs#INDvsBAN #Fakefielding #ViratKohli— Venky_K (@VenkyK_Offic) November 3, 2022
Did ‘fake fielding’ really happen? #IndvBan
— Aakash Chopra (@cricketaakash) November 3, 2022