বারবার প্রতারিত হয়ে ক্রিকেটকে আলবিদা জানালেন বাংলার এই ক্রিকেটার, শোকের ছায়া ক্রিকেট বিশ্বে !!

আজ ক্রিকেট জগত থেকে বিদায় নিলেন মনোজ তিওয়ারি (manoj tiwari)। তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি, সেই পোষ্টের মাধ্যমে জানান তার অবসরের কথা। এছাড়া বাংলার হয়েও খেলতে দেখা যাবে না তাকে।
গত বছর যে তার শেষ বছর ছিল সেটা ভক্তরা আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিল। ঠিক এই কারণেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে রঞ্জিত ট্রফিতে। অবশ্য সেটা স্বীকার করেনি কেউ, আনুষ্ঠানিক ভাবে। পুরো মরশুমটা মনোজ মোটামুটি খুবই ভালো খেলেছিলেন। এছাড়া তার দলও ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে যায় বাংলা। ওই হারের পর মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari) জানিয়েছিল আরো একটা রঞ্জি তার খেলার ইচ্ছা রয়েছে। একবার হলেও ট্রফিটা কে হাতে নিতে চান তিনি।

বৃহস্পতিবার তিনি ইনস্টাগ্রাম-এ জানিয়েছেন, ” আজ থেকে ক্রিকেট জগত থেকে বিদায় জানালাম। এই ক্রিকেট আমাকে দিয়েছে সবকিছুই যা আমি স্বপ্নেও ভাবেনি। আমার জীবনে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছি। কিন্তু আমি ক্রিকেট খেলার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। পাশাপাশি এটাও বলেন যে আমি সব থেকে বেশি কৃতজ্ঞ থাকবো ঈশ্বরের প্রতি যিনি আমার সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মনোজ এই নিয়ে আরো বলেছেন ” যে সকল মানুষ জন আমার এই ক্রিকেট যাত্রাই সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি যত কিছু আজ পর্যন্ত অর্জন করেছি ছোটবেলার কোচ থেকে, গত বছরে যার অধীনে খেলেছি তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। আমার এতদিনের যাত্রায় মানবেন্দ্র ঘোষ শুধু আমার কচি ছেলের না তিনি ছিলেন আমার বাবার মত। যদি তিনি না থাকতেন তাহলে এই ক্রিকেট জগতে এত কিছু অর্জন করতে আমি পারতাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। এ-কদিন আপনার শরীর মোটেও ভালো যাচ্ছে না, তাই আপনার শরীর যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় সেই কামনা করি। এছাড়া সবথেকে বেশি ধন্যবাদ জানাই আমার গুরুজন তথা আমার মা বাবাকে। তারা কখনো আমাকে পড়াশোনার জন্য বেশি চাপ দেয়নি। বরং ক্রিকেট খেলাটিকে চালিয়ে যেতে তারা উৎসাহ করেছিলেন। আমার স্ত্রী আমার জীবনে আসার পর থেকে আমার পাশে সব সময় দাঁড়ানোর জন্য তাকেও ধন্যবাদ জানায়। এছাড়া বাংলা দলের সকল কোচ এবং তার পাশে যারা সব সময় দাঁড়িয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে মনোজ।
মনোজ তিওয়ারি জাতীয় দলের হয়ে মোট ১২ টি ম্যাচ খেলেছেন। এই ১২ ম্যাচে তিনি ২৮৭ রান সংগ্রহ করেছেন।এর মধ্যে তার একটি শতরান এবং একটি অর্ধশত রানও রয়েছে। ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে তিনি তিনটে ম্যাচ খেলে ১৫ রান সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া আইপিএলে কলকাতা ছাড়াও আরো অনেক দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। এছাড়া ২০১২ সালে কলকাতা প্রথম আইপিএল ট্রফি পাই সেটা একমত সম্ভব হয় মনোজের জন্যই। কারণ শেষ ওভারে তিনি দুটো চার মেরে দলকে যেতান। সেই দৃশ্যটি এখনো সারা বাংলাবাসী তথা ক্রিকেটবাসীদের চোখে ভাসে।