IPL 2023 : বেঙ্কটেশ ছাড়া কারও রান নেই, ব্যর্থ বোলাররাও, টানা দুই ম্যাচে হেরে সমস্যায় KKR !!

হোয়াটস্যাপ গ্রুপ জয়েন
Google News Follow

ব্যাটারদের ব্যর্থতা, পরিকল্পনার অভাব আছে দল গঠনে, নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং জোরে বোলারদের। সব মিলিয়ে আরব সাগরে জয়ের স্বপ্ন আরো একবার কলকাতার অধরাই থেকে গেল। আরো একবার কলকাতাতে শাহরুখ খানের শহরে হারতে হলো। দিনের শেষে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের শতরান দাম পেল না। রবিবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের কাছে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারতে হলো। তারা পরপর দুটি জয় পেল। এদিকে পরপর দুটি ম্যাচে কলকাতা হেরে গেল।

মুম্বাইয়ের ইভিংসের শুরু দেখে বোঝাই গিয়েছিল যে তাদের দিনটা কেমন হতে পারে। উমেশ যাদব প্রথম ওভারে ২ রান দিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ওভার থেকে ঈশান কিশান এবং রোহিত শর্মা স্বমূর্তি ধারণ করলেন। শার্দূল ঠাকুরের ওভারে ১৬ রান এলো। তাকে দেখে উমেশ যাদব তৃতীয় ওভারে নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং শুরু করলেন। ১৭ রান এসেছিল তার ওভার থেকে।

তখন ঈশান ওয়াংখেড়ে জুড়ে তান্ডব চালাচ্ছিলেন। তার মারা শট গুলি মাঠের বিভিন্ন দিকে উড়ে যাচ্ছিল। রোহিতও পাল্লা দিয়ে রান করছিলেন। মুম্বাইয়ের স্কোরবোর্ডে পাওয়ার প্লেতেই ৭২ রান উঠে যায়। ওইখানেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ঈশান কিশান অর্ধশতরাণ করে ফেরার পরেও রান তোলার গতি কমেনি। কলকাতা ম্যাচকে সূর্য কুমার যাদব বেছে নিয়েছিলেন রানে ফেরার জন্য। আরো একবার পুরোনো দলের বিরুদ্ধে তাকে জ্বলে উঠতে দেখা গেল। অর্ধশতরানের আগে আউট হলেও ততক্ষণে তিনি জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন।

তার আগে অবশ্য শুধু ভেঙ্কটেশ ওয়াংখেড়ে জুড়ে ছিলেন। মুম্বাই নানা পরিকল্পনা করেছিল ইডব্লিউএ দিবস উপলক্ষে। নীল রং ছিল গোটা গ্যালারির। পাশেই ছিল নীল সমুদ্র। একই সাথে গ্যালারি এবং সমুদ্রে কলকাতার ব্যাটার ঢেউ তুলে দিলেন। ব্যাট হাতে তিনি এমনিতেই ধারাবাহিক। কিন্তু রবিবার ভেঙ্কটেশ নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। তার সামনে মুম্বাইয়ের কোন বোলার টিকতে পারেননি। অফসাইডে হোক কিংবা লেকসাইডে সবদিকেই ভেঙ্কটেশ সমান স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে শট মারলেন।

কেউ জানে না যে কবে কলকাতার ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা মিটবে। এদিনও ওপেন করেছিলেন রহমানুল্লা গুরবাজ এবং নারায়ণ জগদীশন। চলতি মরশুমে পরপর তৃতীয় বার। কিন্তু তারপরেও সাফল্য এলোনা। ওপেন করার মতো জগদীশন যে যোগ্য ক্রিকেটারই নন, এবার কেকেআরের এটা বোঝার সময় এসেছে। এদিন পাঁচটা বল খেলার পরেও খাতা খুলতে পারলেন না। গুরবাজের ক্ষেত্রেও এই একই কথা বলা যেতে পারে। লিটন দাসের মতো ক্রিকেটার রিজার্ভ বেঞ্চে বসে আছেন। তারপরেও প্রতিটি ম্যাচে খারাপ ছন্দে থাকা গুরবাজকে খেলানো হচ্ছে। পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে একটি অর্ধশতরান ছাড়া তিনি কেকেআরের হয়ে আর কিছুই করতে পারেননি।

এই দিন ভেঙ্কটেশ না থাকলে কেকেআরের রান ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছোতো কিনা সেটা বলা মুশকিল ছিল। আন্দ্রে রাসেলের করা ২১ রান হলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। একা হাতে কেকেআরের ইনিংসকে তিনি এগিয়ে নিয়ে গেলেন। কলকাতার ইনিংসে দশটি ছক্কার মধ্যে ৯টি ছক্কা তার। মুম্বাই বোলারদের তিনি একা হাতে শাসন করলেন।

ভালো হয়েছিল শুরুটা। কিন্তু মাঝের দিকের ওভারে হঠাৎ করেই কলকাতার রানের গতি কমে গেল। ভেঙ্কটেশ শতরানের কাছাকাছি এসে ঝুঁকি নিয়ে আর শট খেলতে চাননি। তিনি খুচরো রান করার দিকে নজর দিয়েছিলেন। উল্টোদিকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে দেখা গেল না রিঙ্কু সিংহকে। এদিন রিঙ্কু হতাশ করলেন। তিনি স্বভাব বিরোধী ক্রিকেট খেললেন। তার ব্যাট থেকে কেকেআর সমর্থকরা ৪-৬ এর প্রত্যাশাই করেন। সেখানে ১৮ টি বল খেলে রিঙ্কু মাত্র দুটি চার মেরেছেন।

পরের দিকে রাসেলের মার সত্ত্বেও কলকাতার ২০০ রান পেরোতে পারল না। এই স্কোর মোটেই ওয়াংখেড়ের মতো ছোট মাঠে ভরসা দেওয়ার মত ছিল না। সেটা হয়ওনি।