বীরেন্দ্র সেহওয়াগ (Virendra Sehwag) খুশি হয়েছেন অর্জুন তেন্ডুলকারের (Arjun Tendulkar) বোলিং দেখে। সচিন পুত্রের বল করার ভঙ্গি এবং সুইং করানোর ক্ষমতা হচ্ছে দেখার মত। ভালোই উচ্চতা। ভবিষ্যতের সম্পদ হতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার হওয়ার কারণে। বীরু জানিয়েছেন যে টানা ম্যাচ খেলিয়ে যেতে হবে অর্জুন তেন্ডুলকরকে। তবেই ও নিখুঁত হবে। এর পাশাপাশি প্রাক্তন ভারতীয় পেসার শ্রীসন্থ অর্জুনের প্রশংসা করেছেন। আইপিএলে সচিন পুত্র অর্জুনের অভিষেক হলো।
রবিবার দুপুরে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আর্শাদ খানের জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) বিরুদ্ধে ম্যাচে মুম্বাই টিম ম্যানেজমেন্ট মাস্টার ব্লাস্টার্সের ছেলেকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি জোরে বোলার অর্জুন তেন্ডুলকারের হাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) দলের ক্যাপ তুলে দেন।
যদিও অভিষেকে অর্জুন ছাপ রাখতে পারলেন না। ২ ওভার বল করে তিনি ১৭ রান দিলেন। কোন উইকেট পাননি। পাওয়ার প্লেতেই তিনি এই দুই ওভার বল করেন। এই ম্যাচের অধিনায়ক সূর্য কুমার যাদব (Suryakumar Yadav) তাকে আর পরে ফিরিয়ে আনেননি। হয়তো তাকে প্রথম ম্যাচে তিনি বেশি কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেলতে চাননি। ফিরিয়ে আনার কথা তাই ভাবেননি।
গত বছরের আইপিএলের আগে নিলামে মুম্বাই তাকে কিনেছিল বেস প্রাইস ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। এই বছর মুম্বাই তাকে রেখে দেয়। এর আগে ২০২১ সালে নিলামে মুম্বাই দল তাকে কিনেছিল বেস প্রাইস ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। ওই বছর দ্বিতীয় পর্যায়ে চোট পাওয়ার কারণে ছিটকে যায় অর্জুন। তিনি গত দুই বছর দলে থাকলেও প্রথম একাদশে থাকার সুযোগ পায়নি।
মুম্বাইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে শুরু করলেও তিনি দলে সুযোগ না পাওয়ার কারণে পরে গুয়াতে চলে যান। বুয়ার হয়ে তিনি ৭টি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে নিয়েছিলেন ১২টি উইকেট। ইতিমধ্যেই তিনি লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে ছাপ রেখেছেন। তিনি শতরান করেছেন গোয়ার হয়ে। তবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তার সেরা পারফরম্যান্স এসেছে সেখানে তিনি সাতটি ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন দশটি উইকেট। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অর্জুন এমসিসি ইয়ং ক্রিকেটার্সের হয়েও খেলেছেন।