IPL 2023 : এই ৫ কারণের জন্যই মুম্বইয়ের কাছে পরাজিত হলো KKR !!

কলকাতা নাইট রাইডার্স ওয়াংখেড়ের ম্যাচে হেরে গেল। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কেকেআর পাঁচ উইকেটে হেরেছে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার কেকেআরের হয়ে শতরান করেন। তারপরেও কলকাতা জিততে পারল না। আনন্দবাজার অনলাইন সেই হারের পাঁচটি কারণ খুঁজলো।
নাইটদের ব্যাটিং ব্যর্থতা
ভেঙ্কটেশ ছাড়া কলকাতার আর কোনও ব্যাটার রান পায়নি। ১১ বলে ২১ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল। সেটাই দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল। দশ রানের গণ্ডি ২ ওপেনের পার করতে পারেনি। নারায়ণ জগদীশন কোন রান পায়নি। মাত্র পাঁচ রান করেছিলেন অধিনায়ক নীতিশ রানা। শার্দূল ঠাকুর ১৩ রান করেন। ধারাবাহিকভাবে রান করা রিঙ্কুও এই ম্যাচে কোন রান পায়নি। তিনি মাত্র ১৮ রান করেছেন। ভেঙ্কটেশ একাই ১০৪ রান করলেও দল ১৮৫ রানে থেমে যায়।
রান নেই গুরবাজ়ের ব্যাটে
আফগানিস্তানের উইকেট রক্ষকের ব্যাটে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ২২ রান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৭ রান করার পর আর কোনো রান নেই। কলকাতার হয়ে গুরবাজ পাঁচটি ম্যাচে ওপেন করলেন। এখনো পর্যন্ত তিনি ১০২ রান করেছেন। তার পরিবর্তে লিটন দাসকে খেলানো হবে কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশের ব্যাটারকে দেখা যায়নি। গুরবাজ়ের পরিবর্তে আগামী ম্যাচে লিটনকে খেলতে দেখলে খুব একটা অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
ছন্দহীন রাসেলকে খেলানো
কলকাতা দলে আন্দ্রে রাসেল হল অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। তিনি একা বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। তার ব্যাটে বলে বিকল্প পাওয়া মুশকিল। কিন্তু তিনি এবারের আইপিএলে ছন্দে নেই। তিনি রান করতে পারছেন না। তাকে দিয়ে বেশি বল করানো হচ্ছে না। কেকেআর বিপদে পড়েছে এমন একজন ক্রিকেটারকে খেলিয়ে। ডেভিড উইজ়িকে রাসেলের পরিবর্তে খেলানো যেতে পারে। অথবা শুধু যদি ব্যাটার খেলানোর পরিকল্পনা থাকে তাহলে জেসন রয় তো আছেই।
জঘন্য বোলিং
কোনরকম বৈচিত্র পাওয়া যাচ্ছে না কলকাতার বোলিং আক্রমণে। কেকেআর একই পরিকল্পনায় খেলে যাচ্ছে। টিম সাউদি ব্যর্থ হওয়ার পর লকি ফার্গুসনকে আনা হয়েছে। কিন্তু তেমনভাবে তিনি নজর কাড়তে পারছেন না। চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে সুযশ শর্মা দুটি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু আক্রমণাত্মক হতে পারেননি বাকিরা। মুম্বাইয়ের ঘরের ছেলে শার্দূল ঠাকুর ব্যর্থ হয়েছে। প্রতি ম্যাচে কলকাতা চেষ্টা করছে একই দল ধরে রাখার। কিন্তু তার ফলে বোলিং আক্রমণ ধারালো হচ্ছেনা।
মুম্বইয়ের অসাধারণ ব্যাটিং
এই ম্যাচে রোহিত শর্মা ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন। ১৩ বলে ২০ রান করেছেন তিনি। ২৫ বলে ঈশান কিশাণ ৫৮ রান করেন। ছন্দ হারানো সূর্য কুমারও রানে ফিরলেন। তিলক বর্মা ২৫ বলে ৩০ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। মুম্বাইয়ের সব ব্যাটারই কেকেআরের ভেঙ্কটেশের শতরানের জবাবে অল্প অল্প করে রান করেন। বিন্দু বিন্দুতে মুম্বাইয়ের ব্যাটারা রানের সিন্ধু গড়ে ফেললেন।