IPL 2023 : ক্ষোভ প্রকাশ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের! পাপনের সিদ্ধান্তে আইপিএল থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা !!

সাকিব-লিটনদের আইপিএলের শুরু থেকেই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এতে করে ফ্র্যাঞ্চাইজি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সেই সাথে তিনি এটাও জানিয়ে রাখলেন যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কাউকেই নিলাম থেকে নেওয়ার জন্য হয়তো আগ্রহ নাও দেখাতে পারে।

এই মাসের শেষের দিকে আইপিএল শুরু হবে। তবে বাংলাদেশের ম্যাচ আছে ওই সময়। মূলত টেস্ট ম্যাচ আছে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে, মুস্তাফিজ লাল বলে খেলেন না। সে ক্ষেত্রে বিসিবি শুরু থেকেই মুস্তাফিজকে খেলার অনুমতি দেওয়াতে কোনো রকম আপত্তি নেই। তবে আপত্তিটা হল সাকিব-লিটনকে নিয়ে। দুজনেই হলো বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক। এক্ষেত্রে দল তাদের অনুপস্থিতিতে নেতা শূন্য হয়ে উঠবে। সেই কারণে তাদের জাতীয় দলের ম্যাচ চলাকালীন এনওসি দেবে কিনা তা এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।

তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পছন্দ হচ্ছে না বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে এমন টানাটানি। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ইনসাইট স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, “এটাতে হয় কী-এসব নিয়ে আমরা অভিযোগ জানাতে পারি না। বিসিসিআই এটি নিয়ে অন্যান্য বোর্ডদের সাথে আলোচনা করে। তবে হ্যাঁ, নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে ক্রিকেটার পছন্দ করে নেওয়ার অধিকার আছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের।”

ফ্র্যাঞ্চাইজি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাই উদাহরণ হিসেবে তাসকিনের নাম টানে। মার্ক উডের গত বছরের চোট লাগার কারণে লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে দলে নেয়। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট থাকায় বিসিবি তাকে অনুমতি দেয়নি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এমন কাণ্ড করলে তারা ভবিষ্যতে দল পাবে কিনা, তা নিয়ে ওই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সন্দেহ প্রকাশ করেছে। “আপনি দেখুন, গত বছর তাসকিন এনওসি পাইনি আর এই বছর এসব… যদি তাদের আপত্তি থাকে ক্রিকেটারদের খেলানোর ব্যাপারে তাহলে তাদের নাম নিলামে নিবন্ধন করার কোন মানেই হয় না। তবে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ভবিষ্যতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ধারণা পাল্টাবে।”

এদিকে ক্রিকেট বোর্ডকে বিসিসিআইয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন রাজি করানো, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ক্রিকেটারদের উপর। আইপিএলের শুরু থেকে সাকিব-লিটনই শুধু নন, রয়েছেন শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। “(বোর্ডকে রাজি করানো) এটা পুরোপুরি ক্রিকেটারদের ব্যাপার। বিকল্প পন্থা বের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলো। আইপিএলকে কেউ ‘না’ বলতে পারবেনা এবং এর জনপ্রিয়তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বোর্ডও লভ্যাংশ পেয়ে থাকে।”

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ শেষ হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মাঝখানের সময়টা ফাঁকাই থাকবে। তবে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আবারও আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে। সেই কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি বাংলাদেশর ক্রিকেটারদের উপর বিরক্ত।

Back to top button