২০০০ সালে একটি বড় চর্চিত বিষয় ছিল, সেটি হল ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী এবং বলিউড সুন্দরীর নাগমার মধ্যে সম্পর্কের কথা। ২০০০ সালে সৌরভ নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে দারুণ সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলী সেই সময় ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। আর অন্যদিকে সেই সময় বলিউড সুন্দরী নাগমার জাদু চরমে ছিল।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয় সিনেমা জগৎ অর্থাৎ বলিউডের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের এবং বলিউড সুন্দরীদের মধ্যে অ্যাফেয়ারের খবর হামেশাই খবরের শিরোনামে এসেছে। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কয়েকজন তো সেই সম্পর্ককে আগে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু বেশ কিছু খেলোয়াড়ের অ্যাফেয়ারের পর সেই সম্পর্কই শেষ হয়ে গিয়েছে।
সৌরভ ও নাগমার কাহানী
২০০০ সালে কোনওভাবে সৌরভ এবং নাগমার মধ্যে রিলেশন শুরু হয় এবং যা দীর্ঘ সময় ধরে চলেও ছিল। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে নানা ধরনের কথা শোনা যেত।কিন্তু দুজনের কেউই কখনও এ কথা মিডিয়ার সামনে স্বীকার করেন নি। কিন্তু পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় তখন কিছু বোঝা যায়নি। সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে নাগমার ব্রেকআপের কারণ ১৮ বছর পর সেই রহস্য উন্মোচন করলেন স্বয়ং নাগমা।
একটি ইন্টারভিউতে নাগমা জানান, “২০০০ সালে যখন সৌরভ গাঙ্গুলীর কেরিয়ার শীর্ষে ছিল তখন সমর্থকেরা ভারতীয় দলের হার আর তার অধিনায়কত্ব সহ্য করতে পারছিল না।এর প্রভাব ওই সম্পর্কের উপর পড়ে। এই সময় গাঙ্গুলী আমাকে ছেড়ে তার কেরিয়ারের উপর ফোকাস করা সঠিক বলে মনে করেছিল। আর আমার মতে গাঙ্গুলীর সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। কিন্তু ওই সময় সমর্থকদের এমন রিঅ্যাকশন দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম”।
নাগমা গাঙ্গুলী এবং নিজের সম্পর্ক নিয়ে আগে আরও জানান, “বাস্তবে ভারতে লোকেরা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবন একসঙ্গে জুড়ে দেখে, যা সঠিক নয়।আমাদের দুজনের সম্পর্কও এই কারণে বলি হয়ে যায়। যদিও আমরা দুজনেই নিজেদের মতামতেই আলাদা হয়েছিলাম।”
শেষ পর্যন্ত তিনি বলেন, “যা কিছুই হোক কিন্তু কেউই এই কথা স্বীকার করি নি। যতক্ষন না একে অপরের জীবনে একে অপরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা না হয়, ততক্ষন যে কোনও ব্যক্তিই যা খুশি বলতে পারেন। হয়ত মিডিয়ার সামনে আমরা দুজন একে অপরের প্রতি প্রেমের কথা স্বীকার করি নি, কিন্তু এটা সবাই জানত।”
সৌরভ মূলত তার দাদা স্নেহাশীষ গাঙ্গুলীর সাহায্যে ক্রিকেট জীবনে প্রতিষ্ঠিত হন। বাঁহাতি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক দের মধ্যে একজন বলে বিবেচিত হন। তার অধিনায়কত্বে ভারত ৪৯টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ২১টি ম্যাচে জয়লাভ করে। ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বেই ভারত ফাইনালে পৌঁছে যায়।