দুজনের সংঘাতে নতুন বাঁক, এবার ইনস্টাগামে সৌরভকে ‘আনফলো’ করলেন কোহলি !!

জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) ব্যাটার বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বিসিসিআই সভাপতি এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) বর্তমান পরামর্শদাতা সৌরভ গাঙ্গুলীকে (Sourav Ganguly) আনফলো করেছেন। সম্প্রতি এই ঘটনাটি ঘটেছে দুজনের হ্যান্ডশেখ না করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর। ১৫ এপ্রিল শনিবার আরসিবির ম্যাচ ডিসির বিরুদ্ধে শেষ হওয়ার পরে কোহলির সাথে হাত না মিলিয়ে এই সৌরভ এগিয়ে যান।

ম্যাচটিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুর ২৩ রানে পরাজিত করেছিল এবং এর ফলে চলতি টুর্নামেন্টে দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের পরপর পঞ্চম পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের মধ্যে যখন ম্যাচের শেষে হ্যান্ডশেখ পর্ব চলছিল, তখন কয়েক সেকেন্ডের জন্য থেমে কোহলি এবং পন্টিং (Ricky Ponting) কথা বলছিলেন এবং তখন পন্টিংয়ের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা সৌরভ কোহলির পিছনে থাকা খেলোয়াড়দের সামনে এগিয়ে গিয়ে হ্যান্ডশেক করতে গিয়েছিলেন।

cricketcountry.com-এর মতে, কোহলি ইনস্টাগ্রামে যে ব্যক্তিদের অনুসরণ করেন, সেই তালিকার মধ্যে সৌরভের নাম নেই। অন্যদিকে, কোহলির নাম আছে সৌরভের অনুসরণ করা ব্যক্তিদের তালিকায়।

বেশ কয়েক বছর ধরে বিরাট কোহলি ও সৌরভ গাঙ্গুলীর মধ্যে সুসম্পর্ক নেই

গুজব রটেছিল যে টিম ইন্ডিয়ায় বিরাট কোহলি (Virat Kohli) যখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) যখন বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন তখন তাদের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মতানৈক্য হয়েছিল। সৌরভের সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিরাট কোহলির কাছ থেকে রোহিত শর্মার কাছে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব গিয়েছিল। সৌরভ অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়ে বলেছিলেন যে বিসিসিআই ও নির্বাচকরা একসাথে মিলে এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল।

সৌরভ বলেছিলেন, “বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা একসাথে এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। আসলে, বিসিসিআই বিরাটকে অনুরোধ করেছিল যে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে যেন সরে না যায়, কিন্তু বিরাট রাজি হয়নি। এবং তখন দুজন ভিন্ন অধিনায়ককে দুটি সাদা বলের ফরম্যাটর জন্য রাখা নির্বাচকরা ঠিক বলে মনে করেনি।”

কোহলি তার এক সপ্তাহ পরে প্রকাশ করেছিলেন যে নির্বাচক কমিটির সাথে তিনি কখনোই কথা বলেননি। ২০২১ সালের শেষে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় কোহলি একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন, “টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের সিদ্ধান্ত আমি ঘোষণা করার পর থেকে আমার সাথে ৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কোন রকম যোগাযোগ করা হয়নি। নির্বাচকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে আমি আর ওডিআই অধিনায়ক থাকবো না এটাই আমাকে বলা হয়েছিল, আমি তার উত্তরে বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে।’কোনরকম যোগাযোগ ছিল না আগে থেকে।”