BCCI নির্বাচক কমিটির সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির দুই সতীর্থ !!

বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ব্যর্থতা বিসিসিআই মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। তাই এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচন কমিটিকে ঢেলে সাজাতে চাইছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা দল নির্বাচনকে দায়ী করেছিলেন বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ব্যর্থতার জন্য।

ভারতীয় ক্রিকেট দলে এই মুহূর্তে একাধিক তরুণ তুর্কি থাকার সত্ত্বেও নির্বাচকরা বিশ্বকাপের জন্য যে দল বেছে নিয়েছিল সেই দলে ৩০ এর বেশি বয়স ছিল বেশিরভাগ ক্রিকেটারের। সুনীল গাভাস্কারের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা নির্বাচক কমিটির সমালোচনা করেছিলেন শুভমান গিল, সঞ্জু স্যামসনের মতো ক্রিকেটারদের দলে না নেওয়ার জন্য।

এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচক কমিটি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। ঈদের মধ্যেই বোর্ড নির্বাচক কমিটি বদলে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। শুক্রবার বিসিসিআইয়ের তরফে নতুন নির্বাচক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে যে যোগ্যতার মান বোর্ডের তরফে রাখা হয়েছে তা হল দেশের হয়ে সাতটি টেস্ট ম্যাচ ও ৩০ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ অথবা ভারতের হয়ে ১০টি ওয়ানডে ম্যাচ এবং ২০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে থাকতে হবে।

নতুন নির্বাচক কমিটি নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি বিসিসিআই জারি করার পর থেকে দুটি সামনে আসতে শুরু করেছে।

১) অজিত আগারকার:- অজিত আগারকার ভারতের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। অস্বীকার করা যায় না ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অবদান। তার দুটি ক্ষেত্রেই প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আইপিএল দলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। অর্থাৎ অজিত আগারকার অনেকটাই এগিয়ে আছেন পরবর্তী নির্বাচক প্রধান হওয়ার দিকে।

২) ইরফান পাঠান:- ভারতের এই প্রাক্তন অলরাউন্ডারও নির্বাচক প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে। ইরফান পাঠানের দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ইরফান পাঠান খুব ভালোই জানেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট। ইরফান পাঠানো যে পরবর্তী নির্বাচক প্রধান হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় দাবিদার তা বলাই বাহুল্য।

Back to top button