ফরম্যাট গুলি যেমনই হোক না কেন তাতে সেঞ্চুরি করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। যদিও ওয়ানডে টেস্ট ম্যাচের সেঞ্চুরি করার জন্য খেলোয়াড়রা সময় পেয়ে থাকে কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানকে সেঞ্চুরি করতে হলে খুব দ্রুত রান করতে হবে। এমনই তিনজন খেলোয়াড়ের কথা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিএলের ইতিহাসে যারা দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক এবার :
১. ক্রিস গেইল : ৩০ বল
ক্রিস গেইলের দখলে রয়েছে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটি। ক্রিস গেইলকে রুখতে পুনে ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ স্পিনারদের প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোন পার্থক্য করতে পারেনি। সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেন বল করার এবং ক্রিস গেইল ফিঞ্চের সেই ওভারে ২৯ রান নিয়েছিলেন।
অশোক দিন্দা বল করতে আসলেও দর্শকদের মধ্যে গেইল বল পাঠিয়ে দেন। ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে ওই ম্যাচে ৯ ওভারে সেঞ্চুরি এসেছিল। তিনি মাত্র ৩০ টি বলের মুখোমুখি হয়েছিল সেঞ্চুরি করতে। ৬৬ বলে ১৭৫ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলে গেইল সহজেই আরসিবি দলকে জয় এনে দেয়।
২. ইউসুফ পাঠান : ৩৭ বল
যখন ইউসুফ পাঠান ফর্মে ছিলেন তখন যে কোন বোলারের পক্ষে তাকে আটকানো খুবই কঠিন ছিল। ২০১০ আইপিএলে তিনি একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে ২১৩ রানের একটি বিশাল স্কোরবোর্ড খাড়া করে। জবাবে একেবারেই রাজস্থানের শুরুটা ভালো হয়নি এবং টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
এরপর ইউসুফ পাঠান তার ইনিংসকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩৭ বলে। ৯ টি বাউন্ডারি ও ৮ টি ছক্কা সাজানো ছিল তার এই ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত রান আউট হয়ে যান তিনি এবং ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল কয়েকটি রানের জন্য। রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন পাঠানের এই ইনিংসটিকে অন্যতম সেরা ইনিংস হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
৩. ডেভিড মিলার : ৩৮ বল
আইপিএল খেলার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ‘কিলার মিলার’ নামটি পেয়েছিলেন। ২০১৩ আইপিএল এ তিনি অসাধারণ ফর্মে ছিলেন এবং তিনি গোটা টুর্নামেন্টে ৬০ গড়ে রান করেছিলেন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয় খেলার সময় তিনি একটি ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন আরসিবি দলের বিরুদ্ধে। আরসিবি দল এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রানের এক বিশাল টার্গেট দাঁড় করিয়েছিল।
৫১ রানে পাঞ্জাবের তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় দলটি কঠিন বিপাকে পড়ে। সেই সময় ব্যাট করতে নেমে ডেভিড মিলার শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে ওঠে। তিনি ১৫ তম ওভারে ২৫ রান নিয়েছিলেন এবং ১৮ তম ওভার একটি ছক্কা হাঁকিয়ে দুর্দান্ত জয় এনে দেন দলকে। এই ম্যাচে মাত্র ৩৮ বলে ডেভিড মিলারের সেঞ্চুরি এসেছিল।