ইতিহাস লিখেও ট্র্যাজিক নায়ক এমবাপে! সোনার বুটে হৃদয় জিতলেন বছর তেইশের কিলিয়ান এমবাপে

বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ফাইনাল। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলাল খেলার রং। প্রথমার্ধে লিয়োনেল মেসি ও আঙ্খেল দি মারিয়ার গোলে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার সামনে ছিল ৩৬ বছরের খরা কাটানোর সুযোগ। অন্যদিকে, ফ্রান্সের সামনে ছিল টানা দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতালি ও ব্রাজিলের রেকর্ড স্পর্শ করার হাতছানি।

প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পরেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। সমতা ফিরিয়েও শেষরক্ষা করতে পারল না ফ্রান্স। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ২-২। অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে ছত্রিশ বছরের খরা কাটালো আর্জেন্টিনা। দুর্দান্ত ফাইনালের সাক্ষী থাকল ফুটবল বিশ্ব।

অতিরিক্ত সময়ে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলাটা দারুন জমে উঠেছিল। দুই দলের সামনেই বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কোন দলই তিন কাঠি ভেদ করতে পারেনি। টাইব্রেকারে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম গোল করেন এমবাপে। আর্জেন্টিনার মেসি। কোমানের শত সেভ করেন মার্টিনেজ। দিবালা গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। চুয়ামনির শট সেভ করেন মার্টিনেজ। পারদেশ গোল করেন। মুয়ানি গোল করে ৩-২ করে। মনটিয়েল গোল করে আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব খেতাব এনে দেন।

মেসিকে হারিয়ে গোল্ডেন বুট জিতলেন এমবাপে। হয়তো এমবাপের এটাই প্রাপ্তি হয়ে থাকল। তবে সারা পৃথিবী দেখল এমবাপে কোন ধাতু দিয়ে গড়া। তেইশ বছরের ফুটবলার এদিন ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের পর বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড করলেন। ১৯৬৬ সালে জিওফ জার্মানির বিরুদ্ধে এই অনন্য নজির গড়েছিলেন। এমবাপে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে ব্যাক-টু-ব্যাক বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করলেন। একাধিক বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করা পঞ্চম ফুটবলার হিসাবে এই নজির গড়লেন।

ফ্রান্স ফাইনাল ম্যাচে পরাস্ত হলেও সোনার বুট জয় করলেন সেই এমবাপে। চলতি বিশ্বকাপে আটটি গোল করে তিনি এই খেতাব নিজের নামে করে নিলেন। এমবাপের ঠিক পিছনেই ছিলেন লিওনেল মেসি (আর্জেন্তিনা) – ৭ গোল। এরপর একে একে রয়েছেন অলিভার জিরোড (৪) এবং জুলিয়ান আলভারেজ (৪)।

Back to top button