KKR vs PBKS: ‘সমর্থকদের রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে চিৎকার করতে শুনে গর্ব হয়’, বারবার ম্যাচ জেতানো ‘ছোট ভাইকে’ কুর্নিশ রানার !!

হোয়াটস্যাপ গ্রুপ জয়েন
Google News Follow

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) মত আইপিএল দলের মালিক কিনা শাহরুখ খান (Shahrukh Khan), কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের ক্যাপ্টেন হওয়া নিঃসন্দেহে গৌরবের। অনেক সময় দলের বাকি ক্রিকেটারদের সাথে ক্যাপ্টেন হওয়ার আত্মগরিমাই দলনায়ককে প্রচ্ছন্ন দূরত্ব তৈরি করে দেয়। অন্য ধাতুতে গড়া নীতিশ রানা (Nitish Rana), সেটা তার আচরণ ও কথাবার্তাতেই বোঝা যায়। সতীর্থের সাফল্যে রানা যেভাবে উচ্ছ্বাসে ভাসেন, সেটাই ক্যাপ্টেন হিসাবে তাকে দলের কাছে আরো গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

ইডেনে কেকেআর পাঞ্জাব কিংসের (PBKS) বিরুদ্ধে শেষ বলের থ্রিলারে জিতে ওঠার পরেই রিঙ্কু (Rinku Singh) ও রাসেলকে নিয়ে রানার গলায় অকৃত্রিম আবেগ ঝরে পড়ল। রানা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে কেকেআর শিবিরের সাথে তিনি যুক্ত রয়েছেন। তাই ইডেনের গ্যালারিতে রাসেল-রাসেল চিৎকার শুনে আপ্লুত হওয়া তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এবার রাসেলের পাশাপাশি সমর্থকরা যখন রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে চিৎকার করে, তখন তিনি অনাবিল আনন্দ অনুভব করেন।

রানা বললেন, ‘ওকে (রিঙ্কুকে) আমি বলি, বিশ্বাস রাখ নিজের উপর। যে কাজ তুই করে দেখিয়েছিস (৫টি ছক্কায় ম্যাচ জেতানো), কখনো এই কাজ কোন ক্রিকেটার করে দেখাতে পারবেনা। তুই ওই কাজটা যখন করতে পেরেছিস, তাহলে সব সম্ভব তোর পক্ষে।’

নাইট দলনায়ক সাথে আরও যোগ করেন, ‘যখন ও ব্যাট করছিল, তখন রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে দর্শকরা চিৎকার করছিল। আমার মত অনুযায়ী এই বছর এটা ও অর্জন করে নিয়েছে। আমার গায়ে কাঁটা দেয় গ্যালারির ওই চিৎকার শুনে। কেকেআরের হয়ে খেলছি ছয় বছর হয়ে গেল। আগে যখন রাসেল-রাসেল বলে ইডেনের গ্যালারিতে চিৎকার শুনতাম, আমার ভালো লাগতো। কারণ আমরা জানতাম অনেক কিছু করেছে রাসেল। এখন দর্শকরা রাসেলের পাশাপাশি যখন রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে গলা ফাটায়, আমার তখন ভীষণ ভালো লাগে।’

রানা রাসেলকে নিয়ে বললেন, ‘দশটা ম্যাচ হয়ে গেছে, কখন রাসেলের ব্যাটে বড় ইনিংস আসবে আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কারণ রাসেলের মতো ব্যাটসম্যানের থেকে বড় রান কেবল একটা ইনিংস দূরে সেটা আমরা জানি। আমি ওকে গত ৮-৯ ম্যাচ ধরে এই কথাটাই বলছি। ও সেটা আজ করে দেখিয়েছে এবং দুই পয়েন্ট এনে দিয়েছে আমাদের।’

উল্লেখ্য, সোমবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স পাঞ্জাব কিংসের সাত উইকেটে ১৭৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারে চাপে পড়ে গিয়েছিল। শেষ বলে চার মেরে রিঙ্কু সিং কলকাতাকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে নাইট রাইডার্স ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।