ভারতীয় ODI দলকে (Team India) শ্রীলঙ্কায় এক শোচনীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ২৭ বছর পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে ODI সিরিজ হেরেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) অধিনায়কত্বে এই পরাজয় ভক্তদের হতাশ করেছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) প্রধান কোচ হওয়ার সাথে সাথেই প্রথম ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিবেচনায় এটিকে বড় ধাক্কা হিসেবে ধরা হচ্ছে।বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।
পাকিস্তানকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025) আয়োজন করতে হবে। তার আগে ভারতকে এখন মাত্র ৩টি ODI ম্যাচ খেলতে হবে। মজার ব্যাপার হল, তিনটি ওয়ানডে ম্যাচই হবে ফেব্রুয়ারিতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের মাটিতেই এই সিরিজ খেলবে ভারত। এখন আগামী সময়ে টিম ইন্ডিয়াকে আরও T20 এবং টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক খেলোয়াড়ের ওয়ানডে ক্যারিয়ার এখন ভারসাম্যে ঝুলে আছে।
IPL-এ দীর্ঘ ছক্কার জন্য বিখ্যাত হওয়া শিবম দুবে (Shivam Dube) দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলেন। তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) উপস্থিতিতে তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কায় সুযোগ মিস করেন শিবম (Shivam Dube)। ৫ বছর পর ওয়ানডে দলে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে চেন্নাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার একমাত্র ODI ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর মাত্র ৯ রান করে আউট হন তিনি। বোলিংয়ে তিনি ৭.৫ ওভারে ৬৮ রান দেন। এরপর ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
এখন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir ) কোচ হওয়ার পর জায়গা পেয়েছেন। এবার শিবম আবার হতাশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি ODI ম্যাচে তিনি যথাক্রমে ২৫, ০, ৯ রান করেন। বোলিংয়ে মাত্র ১ উইকেট নিতে পেরেছেন তিনি। যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দল বাছাই হবে, হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) অবশ্যই সুযোগ পাবেন। সে যদি ফিট থাকে তাহলে তার জায়গা কেউ নিতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে শিবম দুবের জন্য অদূর ভবিষ্যতে ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া খুবই কঠিন।
বাঁহাতি বোলার খলিল আহমেদ (Khaleel Ahmed), যিনি ২০১৮ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন, ধারাবাহিকভাবে সুযোগ পাননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য খলিলকে (Khaleel Ahmed) নির্বাচিত করা হয়। মনে হচ্ছিল ২০১৯ সালের পর প্রথম ODI ম্যাচ খেলবেন, কিন্তু সুযোগ পাননি। স্পিন বান্ধব উইকেটে বসে থাকতে হয়েছে তাকে। ভারতের হয়ে ১১টি ODI ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন খলিল। ৫ বছর ধরে প্লেইং-১১-এ ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনি। এখন ভারতকে ফেব্রুয়ারির আগে কোনো ODI ম্যাচ খেলতে হবে না। এমন পরিস্থিতিতে খলিলের প্রত্যাবর্তন কঠিন মনে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আলোচিত খেলোয়াড় হলেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে স্যামসনকে নির্বাচিত করা হয়নি। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। কেএল রাহুল (KL Rahul) এবং ঋষভ পান্তের (Rishabh Pant) ফিরে আসা তাদের সুযোগ নষ্ট করে দেয়। নিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন স্যামসন (Sanju Samson)। তিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পারল গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১০৮ রান করেছিলেন।
তা সত্ত্বেও তাকে ওয়ানডে দলে নেওয়া হয়নি। এখন ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, মনে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট ভবিষ্যতেও কেএল রাহুল (KL Rahul) এবং ঋষভ পন্তের (Rishabh Pant) সাথে চালিয়ে যেতে পারে, যদি তাদের কেউই আহত না হয়। টানা ১০-১৫ ম্যাচে সুযোগ পাননি স্যামসন। ২-৩ ম্যাচ পরই বাইরে বসতে হয় তাকে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে দুর্ভাগা খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন। Team India: আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপে শচীন-দ্রাবিড়ের ছেলেদের দলে জায়গা দেবেন গম্ভীর, শামির ভাইও পেতে চলেছেন সুযোগ !!