GT vs MI, IPL 2023 : ‘কপাল জোরে ফাইনালে উঠে গেলে’, গুজরাট কোচ নেহরাকে প্রকাশ্যেই অপমান !!

মাত্র দুই বছর বয়স দলের। টানা দ্বিতীয়বার গুজরাট টাইটান্স (Gujarat Titans) আইপিএলের ফাইনালে। এখানে কম বয়সে সাফল্য বেশি। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে, শুভমান গিলের দুর্দান্ত ফর্ম, মহম্মদ সামি, রশিদ খান, মোহিত শর্মাদের আগুনে বোলিং এবং লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট কোচ আশিস নেহরা। তাদের দলগত পারফরম্যান্স হল গুজরাটের সাফল্যের রসায়ন। তাদের দ্বিতীয় আইপিএল (IPL 2023) জয়ের দোরগোড়ায় ব্যাটে-বলে অনবদ্য একটি টিম। এমনিতেই আইপিএলের সব থেকে সফল দুটি দল হল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। সেই তালিকার দিকে গুজরাট টাইটান্স গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। হার্দিক পান্ডিয়া-আশিস নেহরা জুটি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দু বছরে যে সাফল্য এনে দিয়েছেন, সেটা তাবড় তাবড় কোচ,গালভরা ক্যাপ্টেনরাও পারেনি। তা সত্ত্বেও গুজরাট টাইটান্স কোচ আশিস নেহরাকে কটাক্ষ শুনতে হলো। শুক্রবার রাতে তিনি তৃতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পর শুনলেন, “কপালের জোরে গুজরাট আইপিএল ফাইনালে উঠেছে।”
শুভমন গিলের সেঞ্চুরি, পাওয়ার প্লে-তে মহম্মদ সামির জোড়া উইকেট এবং মোহিত শর্মার ফিনিশিং টাচ। শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে গুজরাট টাইটান্স সব দিক থেকেই ছাপিয়ে গিয়েছিল। যোগ্য দল হিসেবে গুজরাট ২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেছে। ২০২২ সালে গুজরাটের আইপিএলের জগতে প্রবেশ হয়। বিতর্কে জর্জরিত ও চোট আঘাতের জেরে জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা হর্দিক পান্ডিয়ার উপর নেতৃত্ব ভার তুলে দেওয়া হয়েছিল। কোচের পদেও তেমন আহামরি কোন নাম নেই। দেশের কিংবদন্তি বা তারকা ক্রিকেটারদের তালিকায় আশিস নেহরা কোনদিনও ছিলেন না। বাঁকা হাসি হাসার লোকের অভাব হয়নি এমন কোচ-ক্যাপ্টেনের জুটি দেখে। টিমের ভবিষ্যৎ নিয়েও তারা সন্দিহান ছিলেন। হার্দিক-নেহরা জুটি সেইসব মানুষদের আপাদমস্তক ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে। কোনরকম প্রত্যাশা ছাড়াই গুজরাটের হাতে আইপিএলের আবির্ভাবকালেই আইপিএল ট্রফি উঠেছিল। এই মরশুমেও সাফল্যের উড়ান চলছে। রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচটি ছক্কার ‘অপমান’ হজমের পরেও তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গুজরাটকে আরো একটি ট্রফি জেতানোর দোরগোড়ায় রয়েছে হার্দিক-নেহরা জুটি। এতকিছু কি শুধুমাত্র কপালের জোরে সম্ভব?
শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সুরেশ রায়না, পার্থিব প্যাটেল জিও সিনেমার হয়ে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। তারা ম্যাচের পর আশিস নেহরাকে শুভেচ্ছা জানাতে যান। একসময় তিনজন সতীর্থ ও বন্ধু ছিল। অভিনন্দন জানানোর পর রায়না মজার ছলে বলে ওঠেন, “তোমার ভাগ্যটা খুব ভালো। কপালের জোরে ফাইনালে উঠে গেলে।” নেহরা জি এমন একটি কটাক্ষের জবাব দিতে ছাড়েননি। তিনি বললেন, “বারবার কি ভাগ্য সঙ্গ দেয়? কপালের জোরে একবার যেতে যায়, বারবার নয়। গতবারও আমরা খেতাব জিতেছিলাম।”