Shoaib Akhtar: ২০২৩ এশিয়া কাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শতদানে প্রথমেই মন জিতেছেন সকলের। ঠিক তার পরেই আঘা সালমানের চোট লাগাতে তিনি যেভাবে ছুটে এলেন, তাতেও মন জয় করে নিয়েছে সকল ক্রিকেট প্রেমীদের। সোমবার কলম্বোতে রবীন্দ্র জাদেজার করা বলে সালমান আঘার চোখের নিচে খুবই জোরে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে রক্তপাত হতে থাকে। ঠিক ওই মুহূর্তে কে এল রাহুল দৌড়ে যান এবং দেখেন যে পাকিস্তানি ব্যাটারের গুরুতর চোট লেগেছে কিনা। রাহুলের এমন মনোভাবে, পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার শোয়েব আক্তারের (Shoaib Akhtar) করা পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে খুবই ভাইরাল হচ্ছে। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।
ওই ভিডিওতে আখতার (Shoaib Akhtar) কে বেশ গর্ভের সাথে বলতে শোনা যায়, আমি একটি টেস্ট ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকার কে মারতে চেয়েছিলাম। তার মাথাকে টার্গেট করে আমি বল করেছিলাম। যেটা দেখে অনেকেই বলেছেন, এটাই আসল ভারত এবং পাকিস্তানের মনোভাবের মধ্যে পার্থক্য। একদিকে শচীনকে মারার পরিকল্পনা করেছিলেন শোয়েব এবং অপরদিকে পাকিস্তানি ক্রিকেটার চোট পাওয়ায় ছুটে এলেন রাহুল।
রাহুলের এমন সুন্দর মনোভাবের পর, সংবাদ মাধ্যম স্পোর্টসকিডায় দেওয়া শোয়েব আখতার বলেন, “একটু টেস্ট ম্যাচে আমি শচীনকে আঘাত করতে চেয়েছিলাম। এমনকি আমি তার হেলমেটে ও মেরেছিলাম। তারপর আমি ভেবেছিলাম যে শচীন মারা যাবে। পরে যখন আমি ওই ভিডিওটি দেখছিলাম তখন দেখি শচীন তার মাথা বাঁচিয়ে নিয়েছে। বল তার মাথায় লাগেনি। তারপর আমি আবারও এক কাজ করতে চেয়েছিলাম যাতে সে চোট পায়।”
আক্তারের এমন বক্তব্যে একজন মন্তব্য করেছেন, “একদিকে এক ভারতীয়কে আঘাত করার চেষ্টা করেছিল এক পাকিস্তানি। এছাড়া অপরদিকে এক পাকিস্তানির বিপদে ঝাপিয়ে পড়েন এক ভারতীয়। মানবিকতাটা এখনও বেঁচে থাকাই খুবই গর্ববোধ করছি।” আবার অন্য একজন মন্তব্য করে বলেন, “পার্থক্যটা দেখে নাও।” এ বিষয়ে আপনাদের কি মতামত তা আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন।