Sheetal Devi: হাত নেই, দুটো পা’কে সঙ্গী করেই বিশ্বের মাঠে ভারতের নাম উজ্জ্বল করলেন তীরন্দাজ শীতল দেবী
আজ আমরা কথা বলছি ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ (Archer) শীতল দেবীর (Sheetal Devi) সম্পর্কে। একজন মানুষ চাইলে কত কী করতে পারে তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলেন তিনি। দুই হাত না থাকা সত্ত্বেও স্বপ্ন দেখা থেকে পিছিয়ে যাননি।

মানুষকে নিজের জীবদ্দশায় বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেই সব সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে চলার নামই জীবন। একপ্রকার জেদ নিয়েই মানুষ বেঁচে থাকে। কারোর জেদ ধ্বংস করে আবার কারোর জেদ সৃষ্টি করে। আজ আমরা আপনাদের সাথে এমনই একজনের কথা বলব যিনি জেদের বলে আকাশ ছুঁয়েছেন।
আজ আমরা কথা বলছি ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ (Archer) শীতল দেবীর (Sheetal Devi) সম্পর্কে। একজন মানুষ চাইলে কত কী করতে পারে তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলেন তিনি। দুই হাত না থাকা সত্ত্বেও স্বপ্ন দেখা থেকে পিছিয়ে যাননি। আর সেই স্বপ্ন পূরণও করেছেন। তিনিই বিশ্বের প্রথম মহিলা তীরন্দাজ, যিনি হাত না থাকা সত্ত্বেও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যভেদ করেন।
আরও পড়ুন : একজন প্রতিবন্ধী হয়েও প্যারিস থেকে পদক এনে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন একতা
সমাজের কাছে তিনি একজন প্রতিবন্ধী। কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতা তাঁকে আটকাতে পারেনি। কাল ছিল বিশ্ব প্যারা আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের (World Para Archery Championship) ফাইনাল। মাত্র ১৬ বছরের শীতল ((Sheetal Devi)) নেমেছিলেন খেলতে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় প্রতিপক্ষের সাথে। কিন্তু শেষে চীনের কিউর ওজনুরকে হারিয়ে জিতে নেন রৌপ্যপদক। স্কোর ছিল ১৩৮-১৪০। তাঁর অসাধারণ পারফরমেন্সে গর্বিত গোটা দেশ। সেমিফাইনালে ভারতীয় প্রতিদ্বন্দ্বি সরিতাকে (Sharita) হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। সেমিফাইনাল হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের পিলসেনে। ম্যাচের শেষে স্কোর ছিল ১৩৭-১৩৩।
Sheetal Devi is writing history. 🇮🇳🏹
She is the first female armless archer to make a world final. #WorldArchery #ParaArchery pic.twitter.com/3mLA1flLBP— World Archery (@worldarchery) July 21, 2023
১৬ বছর বয়সী শীতল দেবীর (Sheetal Devi) বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের লোহিধর গ্রামে। ছোট থেকেই আর্থিক অনটন দেখেই বড় হয়েছেন শীতল। তাঁর বাবা একজন কৃষক আর মা ছাগল প্রতিফলন করেন। জম্মুর মাতা বৈষ্ণোদেবী আরজারি একাডেমী থেকে তীরন্দাজিতে (Archery) প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। জন্ম থেকেই তাঁর দুই হাত নেই।
শীতল দেবীর (Sheetal Devi) কোচ কুলদীপ তাঁকে একাডেমিতে গিয়ে অন্যদের শুটিং দেখতে বলেছিলেন। অন্যদের শুটিং দেখে তাঁর এতই ভালো লাগে যে নিজেও খেলতে চান। এরপর অন্যান্য কোচেদের সাহায্যে শীতল দেবী খেলা শুরু করেন। শীতল দেবী একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি কখনও ভাবতেই পারেননি যে তীরন্দাজি করতে পারবেন। ট্রেনিং শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই ভালো খেলতে পারছিলেন তিনি। তাই একাডেমির কোচরা তাঁকে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নিয়ে যান।
গত মে মাসে চেক রিপাবলিক এ অনুষ্ঠিত হওয়া ইউরোপিয়ান প্যারা আর্চারি কাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেও তিনি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। একের পর এক চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস একদিন স্বর্ণপদক জিততে পারবেন।