Sourav Ganguly: “সৌরভের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী…” ঠিক এই মহৎ কারণেই মহারাজের কাছে ক্ষমা চান পাকিস্তানি স্পিনার !!

Sourav Ganguly: ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম বড় নাম হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তার আমলে গাঙ্গুলী অ্যাংরি ইয়ং ম্যান নামে খ্যাত ছিলেন। সেটা অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে টস এর জন্য অপেক্ষা করাই হোক কিংবা বিদেশের মাটিতে দাপিয়ে বেড়ানোই হোক না কেনো। এ সকল বিষয় নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) তথা দাদার নাম সবার আগেই আসে। যার ফলে সকল বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা তাকে এড়িয়ে চলতেন। ভারতীয় ক্রিকেটকে খারাপ সময়ের মধ্যে, তিনি যেভাবে উন্নতি করেছিলেন সেই দেখে সবাই তাকে এড়িয়ে চলতেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন খেলোয়াড় শাকলেইন মুস্তাক (Saqlain Mushtaq)।

এই দুই ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) এবং সাকলেইন মুস্তাক একই আমলে ক্রিকেট খেলতেন। যার ফলে সাকলেইন গাঙ্গুলিকে একজন অধিনায়ক হিসেবে খুবই কাছ থেকে দেখেছিলেন। গাঙ্গুলী যখন খেলা করতেন তখন ছোটখাট বিষয় থেকে শুরু করে বড় বিষয়ে সব সময় সিরিয়াসলি থাকতেন।
যার ফলে সৌরভের থেকে বিপক্ষ দলের ক্রিকেটাররা একটু দূরত্ব বজায় রাখতেন সবসময়ই। পাশাপাশি ওই তালিকার মধ্যে একজন ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা খেলোয়াড় সাকলেইন মুস্তাক। কিন্তু গানগুলি মাঠে হিংস্রভাবে থাকলেও মাঠের বাইরে মনের দিক থেকে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ আলাদা।

কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে মুস্তাক মহান সৌরভ গাঙ্গুলীর কথা তুলে ধরেন। একটি পডকাস্টে মুস্তাক বলেন, “যখনই আমি সৌরভকে দেখি তখনই তাকে দেখে দাম্ভিক মনে হয়। পাশাপাশি আমি যখনই তাকে দেখি মনে হয় সে রেগে আছে। আমার সময়ে সে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। সুতরাং একজন অধিনায়ক হিসেবে তারমধ্যে শক্তি থাকতে হবে এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। তখনকার সময়ে আমি কেবলমাত্র একজন খেলোয়ার ছিলাম। যার ফলে তার সঙ্গে ওই সময়ে খুব একটা ভালোভাবে কথা হয়নি।”

এরপর মুস্তাকের চোট লাগে, সেখানেই তিনি সৌরভ গাঙ্গুলীর আসল মানবিকতা দেখতে পান। এই নিয়ে তিনি বলেন, “একবার আমার হাটুতে অস্ত্রপাচার হয়েছিল। তখন আমি খুবই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলাম। তারপর হঠাৎই চোটের কারণে অনেকটাই কেরিয়ারের নেমে যায়। আমি প্রায় আট মাস মাঠের বাইরেই কাটিয়েছিলাম। আমি পুরোপুরি ফিট হওয়ার পর কাউন্টিতে সই করি। ঠিক ওই সময় ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলতে যান। সেখানে খেলেননি সৌরভ গাঙ্গুলী। ইংলিশ দলের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার আগে ভারতীয় দল একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন সাসেক্সের বিরুদ্ধে।”
পাশাপাশি মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “ওই ম্যাচে সাসেক্সের দলের হয়ে আমি খেলেছিলাম। ম্যাচের আগে আমি জিম থেকে এসে ব্যালকনিতে বসি। আমি দেখলাম গাঙ্গুলি আমার জন্য কফি নিয়ে আসছেন। তারপর তার সাথে আমার ২০ মিনিট কথোপকথন হয়। সে আমার চোটের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছিলেন। কি করে সুস্থ হয়েছে তা তুমি জানতে চান। ঠিক তারপরেই আমার মানসিকতা পুরোপুরি বদলে যায়। যখন তিনি চলে যান তারপরে আমি পুরোপুরি অবাকই হয়ে গিয়েছিলাম। এটা ভেবে যে, কি করে একটা মানুষ এত সুন্দর মনের হতে পারেন।”
দাদার এমন মানসিকতা দেখে, পরে তিনি তার কাছে গিয়ে ক্ষমাও চান। তিনি বলেন, “তারপর আমি ও বলে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। যেখানে গাঙ্গুলীও ছিলেন। তখন আমি তার কাছে গিয়ে নিজে থেকেই বলি দাদা আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। আপনাকে নিয়ে আমি অন্য কিছু ভাবতাম। আপনি আমার শুধু খোঁজই নেননি, আপনি আমার মন জিতে নিয়েছেন।”