Rohit Sharma: “বড় রানের খিদে কমেনি…” ইন্দো-পাক ম্যাচের আগেই হুংকার ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার !!

রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) হলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছেন যে, তিনি অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে রোহিতের ব্যাটে তুলনামূলকভাবে রান আসছে না। হিটম্যান কে তার সেই আগের চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। চলতি এশিয়া কাপ এবং আসন্ন বিশ্বকাপে অধিনায়ক রোহিত এরই নয় বরং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নিজের সেই চেনা ছন্দে ফিরে আসার পরীক্ষা। হিটম্যান ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের ছন্দে ফিরে যেতে চান কিন্তু বর্তমানে তার তার ব্যাটে বড়সড় রান আসছে না। বিস্তারিত জেনে নিন Kheladhular Jogot-এর এই প্রতিবেদনে।

কেন ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাটে বড় রান আসছে না, এই নিয়ে অধিনায়ক রোহিত নিজেই মুখ খুললেন। একটি সংবাদ সংস্থা পিটিআইতে, তার ফর্মে না থাকার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত। শুধু তাই নয় তিনি এটার কারণও বলেছেন। রোহিতের এমন অবস্থা হয়েছে, ঝুঁকি নিয়ে খেলার জন্য কারণ তিনি স্ট্রাইকরেট বাড়াতে চেয়েছিলেন। যার ফলে রোহিতের ব্যাটে তুলনামূলকভাবে বড়ো রান আসছে না। এমনটাই মনে করেছেন অধিনায়ক হিটম্যান।
এই প্রসঙ্গে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বলেন, “আমি এর থেকে অনেক বেশি ঝুঁকি নিতে চেয়েছিলাম। যার ফলে আমার পরিসংখ্যার এমন অবস্থা হয়েছে। বিগত বেশ কিছু বছরে আমার স্ট্রাইক রেট অনেক বেড়েছে। তবে ঘর রান অল্প হলেও কমে গেছে। এছাড়া আমাদের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর এই বিষয়ে বলেছিলেন যে অতিরিক্ত ঝুঁকি নেওয়ার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে।”

পাশাপাশি শর্মা আরও বলেন, “আমার ক্যারিয়ারের স্ট্রাইক রেট প্রায় ৯০ হতে যায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে আমার পারফরম্যান্স দেখুন এবং স্ট্রাইক রেট দেখে বিচার করুন। ১১০ এর সাথে ৫৫ গড় নিয়ে ব্যাটিং করা মুখের কথা নয়।”
চলতি এশিয়া কাপ এবং আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে রোহিত শর্মা বলেন, “আমি এই দুটি বড় টুর্নামেন্টের ঝুঁকি নিয়ে খেলব। আমি অন্য রকম ভাবেই খেলতে চেয়েছিলাম। এছাড়া আমি আগে যেভাবে খেলতাম বর্তমানে তেমনভাবে খেলতে পারি না। কিন্তু বর্তমানে আমি ঝুঁকি নিয়ে খেললেও আমি সেটাতে খুশি। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই ১৬০-১৭০ রানের লম্বা ইনিংস খেলতে চাই। আমিও তো চাই। কিন্তু আমার এমন কিছু করা উচিত যা আমি আগে কখনো করিনি।”

এছাড়া আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। এই প্রসঙ্গ নিয়ে হিটম্যান বলেন, “নিজের সময় বলে কিছু নেই দায়িত্ব আমারই কাঁধে সুতরাং ফল আমাকে দিতে হবে। এছাড়া এসবের থেকেও বেশি দায়িত্ব হল সকল দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে খুশি রাখা। আমাকে এ সকল দায়িত্ব দিয়ে আমার ওপর ভরসা করা হয়েছে, যেটার ফল আমাকেই দিতে হবে। এটা নিজস্ব সময়ের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “তাছাড়া আমি পরিস্থিতির অনুযায়ী দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি। পাঁচ ছয় মাস পরে কি হবে সেটার চিন্তা আমি করি না। যেটা বর্তমানে হচ্ছে সেটা নিয়েই ভাবি। এছাড়া আমি ভবিষ্যতের জন্য সব সময় তৈরি থাকি। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি দায়িত্ব মাথা পেতে নেই।”