IPL 2023: ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন! পাশে আছেন রিঙ্কু !!

হোয়াটস্যাপ গ্রুপ জয়েন
Google News Follow

আইপিএলে (IPL 2023) কোটি কোটি টাকা রোজগার করা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি পড়েন না। তবে তিনি যতটুকু আয় করেছেন, সেটা দিয়ে তিনি বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু অন্য ধাতু দিয়ে গড়া আলিগড়ের রিঙ্কু। লাখ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকলেও রিঙ্কু সবার আগে সেই সব উঠতি প্রতিভাদের কথা ভেবেছেন, তার মত যারা ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। রিঙ্কু (Rinku Singh) তাদের স্বপ্ন সত্যি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ক্রিকেটার হতে গিয়ে তার মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে যে যে বাধার সম্মুখীন হয়েছে, তিনি সেটা অন্যদের সাথে হতে দিতে চান না। বাধা কাটিয়ে তিনি সফল হয়েছেন। এই লড়াই সবাই লড়তে পারে না। তাই ক্রিকেট প্রতিভা গুলি অচিরেই ঝরে যায়। তাদের পাশে রিঙ্কু ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আলীগড়ে এমন একটা হোস্টেল তৈরি করেছেন শেখান থেকে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেমেয়েরা ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।

পরিশ্রম, জেদ ও অদম্য সাহস থাকলে যে কোন বাধা পার করা যেতে পারে। রিঙ্কু সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। পারফরম্যান্সই ক্রিকেটে শেষ কথা। নয়তো ক্রিকেটাররা বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো সমালোচনার শিকার হতেন না। পরিশ্রমের জন্যই আজ রিঙ্কু স্টার। ঝাড়ুদার থেকে তিনি অন্যতম সেরা ফিনিশার। তারই মত হাজারো গরিব পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্স তারকা একটা প্রেরণা। তাদের স্বপ্নকে উসকে দিতে রিঙ্কু উদ্যোগ নিয়ে ফেলেছেন। ক্রিকেটারদের জন্য হোস্টেল তৈরি করা হচ্ছে আলীগড়ের মহুয়া খেদা স্টেডিয়ামে। এখানে থাকার পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েরা ক্রিকেটের প্রশিক্ষণও পাবে। এখানে ১০০ জন ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোস্টেল তৈরি করতে প্রথমবার রিঙ্কু ২০ লাখ টাকা দান করেছেন। হোস্টেল খুব শীঘ্রই তৈরি হয়ে যাবে।

রিঙ্কু বলেছেন, “জমিটি অর্জুন সিং নামে এক দাদার ছিল। তাই হোস্টেল তৈরির পরিকল্পনা ওখানেই করি। আলীগড় থেকে যারা দূরে থাকে এখানে এসে তারা থাকতে পারবে। ক্রিকেটারদের জন্যই শুধু নয়, সিলেক্টরদের কথা ভেবে তৈরি করা হচ্ছে ঘর। কোনো সিলেক্টর যদি ম্যাচ দেখতে আসে এখানে তারা থাকতে পারবেন। প্রথমেই আমি ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। এতে বাচ্চাদের সাহায্যে হবে। আমি অতীত জীবনে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমি চাইনা কোনরকম ভাবে উঠতি প্রতিভারা বঞ্চিত হোক।”