MS Dhoni: তারকা ধোনির সঙ্গে প্রথম দেখা বন্ধু, কেমন ছিল অভিজ্ঞতা? জানালেন খড়গপুরের পুর চেয়ারম্যান প্রদীপ !!

‘ক্যাপ্টেন কুল’ এবার ৪১-এ পা দিলেন। দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্মদিনে ভক্তরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ‘মাহি’-র জন্মদিনে খড়গপুর পুরসভার পৌরপ্রধান প্রদীপ সরকারও শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। খ্যাতির আগে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির লড়াইটা চাক্ষুষ করেছিলেন। রেলের চাকরি করতে করতে তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে দেশের হয়ে খেলার স্বপ্নটাকে ধীরে ধীরে সত্যি হতে দেখেছিলেন। ১৩০ কোটির নয়নের মণি আজকের ধোনি। তাকে একঝলক দেখার জন্য ভক্তরা মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু বিখ্যাত হওয়ার পরেও বন্ধুদের ‘মাহি’ বদলায়নি। স্মৃতি হাঁতড়ে প্রদীপ সরকার বলেছেন যে, “ একবার দেখা হলেই মুছে দিতে পারে ১০ বছর না দেখা হওয়ার ব্যবধানটা।”
ভারতীয় ক্রিকেট দল । বিশ্বকাপ ২০২৩ । IND vs PAK । রোহিত শর্মা । বিরাট কোহলি । সৌরভ গাঙ্গুলি । এম এস ধোনি । সচিন তেন্ডুলকর।
অতীত হাঁতড়ে তিনি সুখ স্মৃতিগুলো তুলে আনেন। প্রদীপবাবু বললেন, “ধোনি যখন খড়গপুরে ছিলেন সেই সময়ও তিনি মাটিতে পা রেখে চলতেন। কোন বিষয় নিয়ে কখনো রাগ করতে দেখিনি। ও যখন খ্যাতির শীর্ষে তখনও আমাদের মাহি বদলায়নি। ওর সাথে যদি ১০ বছর দেখা নাও হয়, তবুও একদিন দেখা করলেই সেই কষ্টটা দূর হয়ে যায়।” প্রদীপবাবু স্মৃতির বাক্স হাঁতড়ে বললেন, “খড়গপুরে থমাসের দোকানে ও চা খেত। অন্ধপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলতে ধোনি ইডেনে এসেছিল। তাকে দেখতে পেয়ে ধোনি লাঞ্চের জন্য টেনে নিয়ে যায়। তারা একসাথে বসে লাঞ্চ সেরেছিলেন।”
কেন রেলের চাকরি ছাড়লেন ধোনি?
প্রদীপ সরকার এই প্রসঙ্গে বললেন, “রেলের চাকরির সাথে সাথে ও খেলাধুলোটাও করত। এখানকার যিনি DRM (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) অনিমেষ গাঙ্গুলির খুবই প্রিয় ছিল ও। ওকে রেলের চাকরি ছাড়তে হয়েছিল কারণ সব সময় ও ছাড় পেতো না। এর পাশাপাশি কিছু অফিসারের ব্যবহার খুব একটা ভালো ছিল না। তাই ওকে চলে যেতে হয়েছিল।”
ঋষভ পন্থ । হার্দিক পান্ডিয়া । শুভমান গিল । গৌতম গম্ভীর । কে এল রাহুল । সূর্যকুমার যাদব । জাসপ্রিত বুমরাহ । জয় শাহ । রাহুল দ্রাবিড় ।
ফেম পাওয়ার পরে ধোনির সঙ্গে প্রথম দেখা…
মহেন্দ্র সিং ধোনি জগৎজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি সাফল্যের রেকর্ড গড়েছেন। এই আকাশছোঁয়া সাফল্য পাওয়ার পর প্রদীপের সাথে ধোনির প্রথম দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? প্রদীপ সরকারকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “আমার মনে আছে প্রথম আমি ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেই সময় পুজো দিয়ে ও বাইকে করে এসেছিল। আমাদের দেখার পর বাইক থেকে নেমে এসে আমাদের জড়িয়ে ধরেছিল। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর আপ্যায়ন করা থেকে শুরু করে ফিরে আসার সময় নিজে গাড়ি করে আমাদের স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে যায়। ও খুব ভালো থাক, জীবনে আরো উন্নতি করুক, জন্মদিনে এই কামনাই করি।”