Harmanpreet Kaur: “কোনো সম্মান নেই…” হারমানপ্রীতের আচরণে ক্ষুব্ধ নিগার, উগরে দিলেন ক্ষোভ !!

কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে ভারত বনাম বাংলাদেশ মহিলা দলের ওডিআই সিরিজ। এই বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত (২-১) ব্যবধানে বাংলাদেশের কাছে জয়ী হয়। এরপরেই শুরু হয় একদিনের সিরিজ। যেখানে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জেতে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত জেতে। এবং তৃতীয় সিরিজে মিরপুরে খেলা ড্র হয়। এই তৃতীয় ম্যাচের পরেই শুরু হয় তর্ক বিতর্ক।
এই ম্যাচে ভারতীয় দলের অধিনায় হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur) ভুল আম্পায়ারিং এর শিকার হন। আসল ঘটনাটি ঘটেছে ৩৪ তম ওভারের চতুর্থ বলে। ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত, নাহিদা আক্তারের ফুলেল ডেলিভারিতে সুইপ করেছিলেন। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটার, ব্যাটে বলে করতে পারেননি।

বল হারমানপ্রীতের প্যাডে লেগে বল চলে যাই স্লিপে। এবং স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকাফাহিমা খাতুন বলটিকে তালুবন্দী করেন। বাংলাদেশ দলের জোরালো আবেদনে আউট দেন অন ফিল্ডে থাকা আম্পায়ার তানভির আহমেদ। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাগ দিয়ে উইকেট ভেঙে দেন তিনি এবং সাজঘরে ফেরার সময় অন ফিল্ডে থাকা আম্পায়ার কে কি যেন বলতে বলতে এবং ব্যাট দিয়ে ইশারা করতে করতে চলে গেলেন।
এরপর এই ব্যাপার নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের মহিলা দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।তিনি বলেন আমার মতে ভারতীয় দল তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেননি। বাংলাদেশের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নিগার সুলতানা বলেন, ঘরের মাটিতে কি ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশ দল।
এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দল যদিও পাহাড়ে কিন্তু তারা লড়াই করে হেরেছে। মিরপুরে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের সময় পুরোপুরিভাবে ম্যাচ গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের দিকে।কিন্তু অবশেষে ম্যাচটি ড্র হয়। যদিও এই ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এই খারাপ আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া তার এই খারাপ আচরণের জন্য সকলেরই রয়েছে আপত্তি।
একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিগার সুলতানা বলেন, “আমরা ভারতীয় দলের কাছ থেকে আশা করেছিলাম যে ভালো খেলার জন্য তারা ধন্যবাদ জানাবে। এছাড়া আমাদেরকে আরো ভালো খেলতে উৎসাহ জানাবে। যেটা আমাদের খেলোয়াড়দের আরো উৎসাহ দেবে ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য।”
পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করে আরও বললেন যে, “যে কিন্তু ভারতীয় দলের করা ব্যবহার মোটেও ভালো ইঙ্গিত দেয়নি। আমাদের এই বিষয়টি খুবই খারাপ লেগেছে। এছাড়া খেলোয়াড়রা কিন্তু ম্যাচ রেফারিকে বিষয়টি নিয়ে আবেদন জানাতে পারে। আমাদেরকে একটুও সম্মান জানানো হয়নি ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে। আমি মনে করি অমন পরিস্থিতিতে এখানে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই। আমি আমার দলের খেলোয়ারদের সম্মান করি। সুতরাং এমন বাজে আচরণ আমার পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। ম্যাচ চলাকালীন অনেকেই অনেক কারনে রাগ দেখায়। কিন্তু ওই রাগ ম্যাচ শেষেও টেনে নিয়ে যাওয়া উচিত নয় বলে আমার মনে হয়।”