ধোনি এবং সৌরভের বন্ধুত্ব অনেক গভীর যা আমরা মাঠে দেখেছি মাঠে কেন মাঠের বাইরেও, তাদের সম্পর্ক খুবই ভালো তারা দুজনেই মহান ক্রিকেটার। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক, সবাই এককথায় ক্যাপ্টেন কুল নামে চেনেন, যার ভালো নাম ‘ মহেন্দ্র সিং ধোনি ‘ (Ms Dhoni) সারাবছরই ট্রেডিং। শেষবার এর মত ধোনি ভারতীয় দলের জার্সি তে মাঠে নেমেছিল ২০১৯ সালে। ভারতীয় দল এনার নেতৃত্বে তিনবার আইসিস ট্রফি জিতেছে।
ধোনির নেতৃত্বে ভারত শেষবার আইসিস ট্রফি পায় ইংল্যান্ড কে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনালে হারিয়ে। বাঙালির ছেলে সৌরভ গাঙ্গুলী সব সময় তরুণদের পাশে দাঁড়াতেন। বিপক্ষ দলকে ভয় পেতেন না সৌরভ গাঙ্গুলী, বরং তার দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের ভয়ে থাকতেন বিপক্ষ দল। সেই সময়কার সেরা ক্যাপ্টেন ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। সৌরভ গাঙ্গুলী তার জীবনের লাস্ট ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলেন ১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
১. ধোনিকে টপ অর্ডারে ব্যাটিং পাঠানো:-
প্রথম দিকে চার-পাঁচ নম্বরে নেমে প্রথম চারটে ইনিংস ফ্লপ যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির, তারপর বাংলার রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে বলেন দুই নম্বরে খেলতে তখন ধোনি বলেন আপনি, তখন গাঙ্গুলী বলেন আমি তিন নম্বর খেলে নেবো তুমি দু’নম্বরে যাও, এবং মজার ব্যাপারটা এখানেই দু নম্বরে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি সেঞ্চুরি হাকান। আজ যদি সৌরভ গাঙ্গুলী ওই সুযোগটি না দিত তাহলে ভারতবর্ষ হয়তো ক্যাপ্টেন কুলকে পেতেনই না।
২. সেহবাগ যুবরাজ কে তৈরি করা:-
সেই সময় টিম ইন্ডিয়াতে মিডিল ঔদার অনেক ব্যাটসম্যান ছিল, সৌরভ গাঙ্গুলী সেহবাগ কে বলেছিল যে আজ ওপেনিং করো, যদি হেডেন লাংগার করতে পারে তাহলে তুমি কেনো পারবে না, তিনি বলেছিলেন আমি কোনদিনও ওপেনিং করিনি, দিল্লির হয়ে পাঁচ নম্বর ছয় নম্বরে খেলতাম , যদি আউট হয়ে যায় তাহলে কি হবে, তখন গাঙ্গুলী বলেছিলে আউট তো নিচে নামলেও হতে পারো। তারপর ওপেন করলো ইংল্যান্ডে ১০০ করেছিলেন।
আমরা দেখেছি শুরুর দিকে যখন যুবরাজ সিং খেলতেন তখন প্রত্যেকটা ম্যাচে ফ্লপ, কিন্তু তার ফ্লপ খাওয়ার সত্ত্বেও বাংলা রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলী তাকে সুযোগ করে দেন। যার ফলে যুবরাজ সিং পরবর্তী কালে একটি বড় মাপের প্লেয়ার তৈরি হন, আমরা সকলেই জানি তার ব্যবধান, ভারত দুটি ওয়ার্ল্ড কাপ যেতে একটা টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ একটা ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপ, সেই ওয়ার্ল্ড কাপে যুবরাজ সিং এর ব্যবধান অনেক বেশি, ২০১১ ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপে তিনি ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ছিলেন। সুতরাং তার নামে যতই বলা হবে ততই কম।
৩. ধোনিকে দল তৈরি করে দেওয়া:-
বীরেন্দ্র সেহবাগ, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, আশিষ নেহেরা, জাহির খান এমনকি মহেন্দ্র সিং ধোনি কেউ সুযোগ করে দেন। এরাই পরবর্তীকালে ২০০৭ টি ওয়ার্ল্ড কাপ, ও ২০১১ ওডিআই ওয়ার্ল্ড কাপ জিততে সাহায্য করে। এদেরকেই সৌরভ গাঙ্গুলী সুযোগ দিয়ে সুপারস্টার তৈরি করেছেন বলেই মহেন্দ্র সিং ধোনি দুটো ওয়ার্ল্ড কাপ পেয়েছে।