‘এম এস ধোনি চাননি আমি আর ভারতের হয়ে যেন খেলি !!’ এক দিনের ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বীরু! পাশে দাঁড়ান এই ক্রিকেটার

হোয়াটস্যাপ গ্রুপ জয়েন
Google News Follow

ভাগ্যিস বীরেন্দ্র শেহবাগ কে থামিয়ে ছিলেন সচিন তেন্দুলকার। না হলে শেহবাগ 2008 সালে এক দিবসীয় ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিতেন। বহু বিধ্বংসী ইনিংস দেখা থেকে বঞ্চিত হতো প্রচুর ক্রিকেটপ্রেমী। শেহবাগ 2008 সালে ধোনির নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত থেকে হতাশ হয়ে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

একটি সাক্ষাৎকারে 2008 সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা বলেছিলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ওপেনারের ব্যাটে টেস্ট ম্যাচে রান আসলেও ওয়ানডে ম্যাচে তেমন রান আসছিল না। ফলে তাকে এক দিবসীয় ক্রিকেটের প্রথম দল থেকে বাদ পড়তে হয়। তখন তিনি একদিবসীয় ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শেহবাগ বলেছেন, “২০০৮ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ই এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের চিন্তা মাথায় আসে। টেস্টে ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলাম। কিন্তু এক দিনের ম্যাচে কিছুতেই রান পাচ্ছিলাম না। পর পর তিন-চারটে ম্যাচে ব্যর্থ হই। ধোনি আমাকে প্রথম দল থেকে ছেঁটে ফেলে। তখনই মনে হয়েছিল এক দিনের ক্রিকেট আর নয়, শুধু টেস্ট খেলব।”

সে সময়ে অনিল কুম্বলে টেস্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করতেন এবং লিমিটেড ওভার ক্রিকেটে অধিনায়ক ছিলেন ধোনি। 2008 সালে একটি ত্রিদেশীয় একদিবসীয় সিরিজ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সফরের পরে। অস্ট্রেলিয়া ভারত এবং শ্রীলঙ্কা অংশগ্রহণ করেছিল সেই প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতার দশটি ম্যাচের পাঁচটিতে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ভারত তাকে ছাড়াই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল।

Img 20221103 005243, 'এম এস ধোনি চাননি আমি আর ভারতের হয়ে যেন খেলি !!' এক দিনের ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বীরু! পাশে দাঁড়ান এই ক্রিকেটার, 'এম এস ধোনি চাননি আমি আর ভারতের হয়ে যেন খেলি !!' এক দিনের ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বীরু! পাশে দাঁড়ান এই ক্রিকেটার
Image: 'এম এস ধোনি চাননি আমি আর ভারতের হয়ে যেন খেলি !!' এক দিনের ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বীরু! পাশে দাঁড়ান এই ক্রিকেটার

শেহবাগ বলেন, “সচিন আমার সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল। আমাকে বলে, ‘এটা তোমার জীবনের একটা খারাপ সময়। অপেক্ষা কর। সফর শেষ হলে বাড়ি যাও। খুব ভাল করে ভাব। তার পরে ঠিক কর কী করতে চাও।’ ওর কথাতেই তখন এক দিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিইনি।”

শেহবাগ এই ঘটনার পর দেশের হয়ে এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন আরও পাঁচ বছর। 2008 সালের পর থেকে 2013 পর্যন্ত 68টি এক দিনের ম্যাচে 45.55 গড়ে 2961 রান করেন তিনি। শতরান করেছেন সাতটি। সহবাগ ক্রিকেট জীবনে এক দিনের ম্যাচে মোট 15টি শতরান করেন। অর্থাৎ 2008 সালে অবসরের কথা ভাবার পর তাঁর ব্যাট থেকে তার কেরিয়ারের মোট একদিবসীয় শতরানের প্রায় অর্ধেক শতরানই এসেছিল।