IPL 2023 : ‘ওর বয়স আর ২১ নয়’, গম্ভীরের সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে বিরাটকে তুলোধোনা উথাপ্পা-কুম্বলের !!

গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) এর সাথে ঝামেলার পর রবিন উথাপ্পা (Robin uthappa) এবং অনিল কুম্বলে (Anil Kumble) বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) তুলোধোনা করলেন। সোমবার লখনউ সুপার জায়েন্টস (LSG) বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রশ্ন তুলেছেন বিরাটের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে। কিছুটা রাখঢাক করে কুম্বলে বললেন, ‘যাই হোক না কেন মাঠে, ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাত মেলাতে হবে।’ তবে ‘পলিটিক্যাল কারেক্ট’ বিষয় বজায় রাখার কোন রকম পথে উথাপ্পা হাঁটেননি। একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেন, এখন আর বিরাটের বয়স ২১ নয় যে ও ওই রকম আচরণ করবে। খেলার অন্যতম বড় সমর্থক বিরাট হলেও মাঠে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক যে রকম আচরণ ও আগ্রাসী সেলেব্রেশন করেন, একেবারেই সেটাতে তিনি সমর্থন করেন না।

সোমবার উথাপ্পা জিয়ো সিনেমার অনুষ্ঠানে বললেন, ‘বিরাট কোহলির (Virat Kohli) আমি বড় সমর্থক। কিন্তু যেভাবে ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে, সেটার সমর্থক আমি একেবারেই নই।’ সেই সাথে তিনি যোগ করলেন, এখন আর বিরাটের বয়স ২১ নয়। যিনি কিনা ওইরকম আগ্রাসী সেলিব্রেশন করবেন। এখন বিরাট একজন পরিণত ক্রিকেটার। কোটি কোটি তরুণ ক্রিকেটার তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়, উদ্বুদ্ধ হয়। ওই তরুণদের কাছে বিরাটের এইরকম আগ্রাসী আচরণে ভালো বার্তা যাবে না, সেটা উথাপ্পা সোজাসুজি বললেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যখন বিরাটের সাথে গম্ভীরের ঝামেলা হয়েছিল, তখন কলকাতা নাইট রাইডার্সে উথাপ্পা গৌতমের সাথে খেলতেন।

ওই অনুষ্ঠানে একই সুরে কুম্বলে বললেন, ‘আবেগের বিচ্ছুরণ নয় যে কোন ম্যাচে। কিন্তু এখানে খেলোয়াড়রা সেইসব আবেগের বহিঃপ্রকাশ করতে চায় না।’ এর সাথে তিনি বললেন, ‘যাই হোক না কেন মাঠের মধ্যে, বিরোধীপক্ষকে আমাদের সম্মান জানাতে হবে। সম্মান জানাতে হবে খেলাটাকে। মাঠের মধ্যে যাই হোক না কেন, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হাত মেলাতে হবে।’ উল্লেখ্য, ভারতীয় দলের কুম্বলে বিরাটের সাথে কাজ করেছেন। কিন্তু অধিনায়ক বিরাটের সাথে ‘ঝামেলা’-র জন্য তিনি দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।

বিরাট ও গম্ভীরের মধ্যে কী হয়েছিল?

সোমবার যে মুহূর্ত থেকে লখনউ ব্যাঙ্গালোরের ১২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামে, তখন থেকে বিস্ফোরণ ঘটে বিরাটের আগ্রাসনের। প্রতিটি উইকেটের পর যেন সেই আগ্রাসনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল। সেলিব্রেশন করছিলেন চূড়ান্ত আগ্রাসনের সাথে। এরই মধ্যে ব্যাঙ্গালোরকে প্রথম লেগে শেষ বলে ১ উইকেটে হারানোর পর যেভাবে মুখে আঙুল দিয়ে গৌতম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারিকে চুপ করিয়েছিলেন, সোমবার বিরাট লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে সেটাই করেছিলেন। তবে তাতে কোনো সমস্যা হয়নি।

ম্যাচের শেষ লগ্নে সমস্যার সূত্রপাত হয়। বিরাটের সাথে আফগানিস্তানের নবীন-উল-হকের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই ঝামেলা হাত মেলানোর সময় পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তীতে গম্ভীরও সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। বিরাট এবং গম্ভীর একে অপরের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুই দলের খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা তাদের সরিয়ে নিয়ে যায়।