প্রথমে জেসন রয়-নীতিশ রানা ব্যাট হাতে মাঠে নামলো। তারপর বল হাতে মাঠে নামলো বরুণ চক্রবর্তী-সুয়াশ শর্মা। পরপর চার ম্যাচে হারের পর জয়ে ফিরল কেকেআর। চলতি সিজনে কিং কোহলির দলের বিরুদ্ধে নাইটরা ২-০ করল। ইডেনে ঘরের মাঠে প্রথমে নেমে নাইট রাইডার্স আরসিবিকে বিধ্বস্ত করেছিল। এবার চিন্নাস্বামীতে দাপট দেখিয়ে কেকেআর ২১ রানের ম্যাচ জিতেছে। সেই সাথে প্লে অফে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখল।
কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২০০ তুলেছিল। আরসিবির সেই রান চেঞ্জ করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৯-র বেশি রান তুলতে পারল না। রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর ঝড়ের গতিতে শুরু করে। উমেশ যাদবের দ্বিতীয় ওভারে ডু-প্লেসিস চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন।
ইম্প্যাক্স প্লেয়ার হিসেবে তৃতীয় ওভারে দলে আসা সুয়াশ শর্মাকে নীতিশ রানা আক্রমণে নিয়ে আসেন। ডু-প্লেসিসকে সেই ওভারে তুলে নিয়ে মিস্ট্রি স্পিনার বড়সড় ঝটকা দেন। পাওয়ার প্লের মধ্যেই সুয়াশ, বরুণ চক্রবর্তী ফিরিয়ে দেন শাহবাজ আহমেদ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। পাওয়ার প্লের মধ্যে লাল জার্সির দল তিন উইকেট হারিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়।
এক প্রান্তে টিকে থেকে কোহলি অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি করে যান। কিং কোহলি কেকেআরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন মহীপাল লোমরোর সাথে ৫৫ রানের পার্টনারশিপে। তবে পরপর দু ওভারে কোহলি এবং মহিপাল লোমরোরকে রাসেল এবং বরুণ চক্রবর্তী ফিরিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই কার্যত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। দীনেশ কার্তিক শেষের দিকে ১৮ বলে ২২ রান করলেও সেটা কাজে আসেনি।
ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ হলেও এই দিন মোক্ষম সময়ে রাসেল কোহলি এবং হাসারাঙ্গাকে শিকার করে নেন। বরুণ চক্রবর্তী ২৭ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন। সুয়াশের সংগ্রহে ছিল জোড়া উইকেট।
টসে জিতে ক্যাপ্টেন কোহলি ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর প্রথমেই কেকেআরকে দুই ওপেনার দুর্দান্ত গোড়াপত্তন উপহার দিয়ে যান। চলতি সিজনে সেটা প্রথমবার হল। জেসন রয়ের সাথে নামানো হয়েছিল এন জগদীশনকে। ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ ব্যাটিংয়ের শুরুতেই জেসন রয় হইচই ফেলে দেন। শাহবাজ আহমেদের এক ওভারে ইংরেজ ওপেনার ২৫ রান তোলেন। অন্য প্রান্তে ঠিকমতো জগদীশন ব্যাটে-বলে করতে না পারলেও যথাযথভাবে শিট আঙ্করের ভূমিকা পালন করে যান।
নয়ের উপর রান রেট ছুটছিল ওভার পিছু। তবে কেকেআর দশম ওভারে জোড়া ঝটকা হজম করে। একই ওভারে বৈশখ বিজয় কুমার দ্বিতীয় এবং শেষ বলে ক্রিজে টিকে থাকা দুই ওপেনারকে আউট করে দেন। জেসন রয় প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে ২৯ বলে ৫৬ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলে যান। জগদীশন একেই বলে ২৭ রান করেন।
দুই ওপেনার আউট হয়ে যাওয়ার পর ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৬ বলে ৩১) এবং ক্যাপ্টেন রানা (২১ বলে ৪৮) কেকেআর ব্যাটিংয়ের রান তোলার গতি বজায় রাখেন। দুজনে দলকে এগিয়ে দেন মাত্র ৪৪ বলে ৮০ রানের পার্টনারশিপে। ১৮ তম ওভারে হাসারাঙ্গা দু-জনকেই ফিরিয়ে দেন। শেষ দুই ওভারে কেকেআর স্কোর বোর্ডে রিঙ্কু সিং (১০ বলে ১৮) এবং ডেভিড ওয়াইজের (৩ বলে ১২) ব্যাটে ভর করে আরো ৩০ রান যোগ করে যায়।