IPL 2023 : শুধু ম্যাচ ফিনিশিং নয়, দরিদ্র ক্রিকেটারদের সাহায্যে হোস্টেল তৈরি করছেন রিঙ্কু সিংহ !!

অবিশ্বাস্য টানা পাঁচটি ছক্কায় গুজরাট টাইটান্সের (Gujrat Titans) বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো তাকে ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। ক্রমাগত দারিদ্রের সাথে লড়াই করে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) আইপিএলের মঞ্চে মাতাচ্ছেন। তবে ক্রিকেট মাঠে শুধু নয়, মাঠের বাইরেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) এই ব্যাটারের দাদাগিরি অব্যাহত রয়েছে। দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে লড়ে লড়াই করে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটাররা বড় হয়েছেন। তাই দরিদ্র উঠতি ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে তিনি অনন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটি গোটা হোস্টেল তৈরি করেছেন নিজের অর্থ দিয়ে।

ক্রিকেটারদের যাতে ক্রিকেট অনুশীলনের মধ্যে থাকা-খাওয়ার কোনরকম অসুবিধা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার রিঙ্কু সিং এই দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই হোস্টেল বানাতে রিঙ্কু ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। এখানে ১৪ টি ঘর আছে এবং ৫০ জন উঠতি ক্রিকেটারের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।কেকেআরের (KKR) ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংহের ছোটবেলার কোচ মাসৌদ জাফর আমিনি (Masooduz-Zafar Amini) জানিয়েছে, হোস্টেল তৈরির কাজ প্রায় ৯০% শেষ। আইপিএল শেষ করে রিঙ্কু ফিরে এসে নিজে হোস্টেলের উদ্বোধনের সময় হাজির থাকবে।

রিঙ্কুর বাবা বাড়ি বাড়ি গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করে থাকেন। তার একটি দাদা অটো চালায়। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সংসারের হাল টানতে রিঙ্কুর আরো এক দাদা কোচিং সেন্টারে পরিষ্কারের কাজ করতেন। দারিদ্রের সাথে প্রবল লড়াই চালিয়ে রিঙ্কু সিংহকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। তার কোচের কথায়, রিঙ্কুর ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াবে। ওর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হোস্টেল তৈরি করা। আপাতত আর্থিকভাবে রিঙ্কু স্বচ্ছল হওয়ার পর সেই স্বপ্নকে বাস্তব করার কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রিঙ্কু সিংহের রঞ্জিতে অভিষেক হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের হয়ে। পরের আইপিএলে রিঙ্কুকে দলে নিয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ২০১৮ সালের নিলামে কলকাতা শিবির তাকে ৮০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলে নেয়। তারপর থেকে রিঙ্কু সিংহ কেকেআর শিবিরের অন্যতম সদস্য। বছর ১২-১৩ আগে আমিনি রিঙ্কুকে কোচিং করানো শুরু করেছিলেন। আপাতত তিনি আলিগড় ক্রিকেট স্কুল ও অ্যাকাডেমির দায়িত্বে রয়েছেন। এর পাশাপাশি রিঙ্কুর ছোটবেলার কোচ ছাত্রের ক্রিকেটীয় বৃত্তে আস্তে আস্তে উন্নতি দেখে তৃপ্ত।

Back to top button